নিজের পূর্বসূরী কাজী সালাউদ্দিনকে অনুসরণ করতে চাননি নতুন অভিভাবক তাবিথ আউয়াল। যে কারণে ফিফার আর্থিক নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে তোলার পণ করেছিলেন নির্বাচিত হওয়ার ১০০ দিনের মধ্যেই।
বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম বলেন, '২০১৮ সালে নিষেধাজ্ঞা হয়েছে, ছয় বছরে হয়নি। তাবিথ আউয়াল ১০০ দিনে এটা করেছেন। উনি এই বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর এবং এই ইন্টার্নাল অডিট কমিটির প্রথম মিটিং উনি করেছেন।'
ছয় বছরের বেশি সময় নিষেধাজ্ঞার খবর ছিল লোকচক্ষুর অন্তরালে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৌশলী উত্তর দেন বাফুফে কর্তা।
ফাহাদ করিম বলেন, 'পেছনের দিকে না তাকিয়ে আমরা সামনের দিকে তাকাই। গতকাল আমরা এটা থেকে বের হয়েছি। এটা সকলেরই অর্জন, দেশের অর্জন, ফুটবলের অর্জন। আশা করি এই নিষেধাজ্ঞা থেকে বের হওয়ার জন্য সামনে ফিফার সাথে অনেক কিছু করার যে সুযোগ আছে, সেটা উন্মোচন হবে।'
আর্থিক ইস্যু সমাধানে ফিফা সভাপতি, এএফসি সভাপতির সঙ্গে দেখা করেছেন বাফুফে সভাপতি। ফিফার অডিট টিমের সফর এগিয়ে আনার জন্য ফিফা ও এএফসি সদর দপ্তরেও যেতে হয়েছে তাবিথ আউয়ালকে।
ফাহাদ করিম বলেন, 'দুইবার এএফসির সভাপতির সাথে নিজস্বভাবে উনি লন্ডনে দেখা করেন। উনি কোরিয়াতে এএফসি সভাপতি আর ফিফা সভাপতির সাথে দেখা করেন। ফিফার প্যারিসে যে অফিস আছে, সেখানে উনি নিজে যান শুধু এই জিনিসটাকে সমাধান করার জন্য। এবং ফিফা অডিট টিমের সাথে উনি অসংখ্যবার জুম মিটিং করেছেন।'
বাফুফের আয়ের অন্যতম উৎস হল ফিফার ফান্ড। ফিফা সাধারণত দু'টি বা তিনটি কিস্তিতে প্রতি বছর সদস্য দেশগুলোকে বরাদ্দ করে থাকে। তবে গত ছয় বছর ধরে বাফুফে অনেক বেশি কিস্তিতে টাকা পেত। প্রতি বছর তাদেরকে সমপরিমাণ অর্থ দেয়া হতো ১০ থেকে ১২টি কিস্তিতে। যার কারণে পুরো অর্থও আদায় করা সম্ভব হয়নি।
ফাহাদ করিম বলেন, 'আমাদেরকে যে টাকাটা দেয়া হতো সেটা সাধারণত দুইটি অথবা তিনটি কিস্তিতে দিতো, যেটা স্বাভাবিক। কিন্তু তখন কিস্তি অনেক বাড়িয়ে দেয় । ১০ থেকে ১২টি কিস্তিতে টাকাটা দিতো এবং প্রত্যেকবার যে টাকাটা আমাদের দেয়ার কথা সেটা থেকে একটা অংশ কেটে তারা একটা অডিটর নিয়োগ করতো। ঐ অডিটর যেটা অডিট করতো এবং অডিট করে যেটা ওকে বলত সেই টাকাটা আমরা পেতাম।'
নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় এখন বাফুফে বিশেষ প্রকল্পের জন্য ফিফাতে আবেদন করতে পারবে এবং বহুমাত্রিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারবেন বলে বিশ্বাস বাফুফে কর্তাদের।