দেশের ফুটবলের উন্নয়নে ফিফা থেকে আর্থিক বরাদ্দ পায় বাফুফে। তবে, সেই অর্থ ব্যয় করার ব্যাপারে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা না মানায় ২০১৮ সালে আর্থিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে ফেডারেশন। বাফুফের নতুন কমিটি ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেনে স্বচ্ছতা দেখানোয় দীর্ঘ সময় পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ফিফা। যে কারণে তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিটিতে এখন স্বস্তির হাওয়া।
বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিমের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ফুটবল বিশ্বে আমাদের সম্মানটা বাড়লো। কারণ, একটা সদস্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় আছে সেটা কখনই কাম্য নয়। আমরা মনে করি, আমরা যদি ভালো কাজ করি এবং সেভাবে চালিয়ে যাই তাহলে ফিফা থেকে আমরা আরো সহায়তা পাবো ইনশাআল্লাহ। আর যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হল, যে পরিমাণ অর্থ আমাদের পাওয়ার কথা, আমরা ইনশাআল্লাহ সেটা পুরোটা পাওয়ার চেষ্টা করব।’
আর্থিক নিষেধাজ্ঞা থাকায় কী কী প্রতিবন্ধকতা ফেডারেশনকে মোকাবিলা করতে হতো এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাফুফে সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম।
ফাহাদ করিম আরো বলেন, ‘আমাদেরকে যে টাকাটা দেয়া হতো সেটা সাধারণত ২টা অথবা ৩টা কিস্তিতে দিতো, যেটা স্বাভাবিক। কিন্তু তখন কিস্তি অনেক বাড়িয়ে দেয় । ১০-১২ টা কিস্তিতে টাকাটা দিতো এবং প্রত্যেকবার যে টাকাটা আমাদের দেয়ার কথা সেটা থেকে একটা অংশ কেটে তারা একটা অডিটর নিয়োগ করতো। ঐ অডিটর যেটা অডিট করতো এবং অডিট করে যেটা ওকে বলত সেই টাকাটা আমরা পেতাম।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে টাকাটা পাওয়ার কথা তা নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায় কোনোদিনই আমরা পুরোপুরি পেতাম না। আমাদের টাকা থেকে কেটে আমাদেরকেই অডিট করানো হতো। ফিফার ফরওয়ার্ড প্রোগ্রাম, ফিফার স্পেশাল প্রোগ্রাম ফিফার অনেকগুলো প্রোগ্রাম আছে যেগুলোতে ভালো করলে ফিফা আমাদের টাকা দেয়, এটা সকল সদস্যকে দেয়। সেই টাকাগুলো আমরা চাইতে পারতাম না।’
কাজী সালাউদ্দিনের আমলে আর্থিক কারণেই জরিমানা গুনতে হয়েছিল সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মোর্শেদীকে। তাছাড়া বিগত সময়ে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা আবু নাঈম সোহাগের নিষিদ্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল আর্থিক অনিয়ম।