ম্যানসিটির হয়ে দ্রুততম সময়ে হ্যাটট্রিক মিশরীয় এক স্ট্রাইকারের

0

প্রিমিয়ার লিগে এক অবিশ্বাস্য, দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করে ম্যানসিটিকে মিশরীয় বসন্তের জানান দিলেন ওমর মারমুশ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিষেকে রিয়ালের বিপক্ষে হারের স্বাদ পেলেও নিউক্যাসলের বিপক্ষে ১৪ মিনিটে দেখালেন জাদুর ঝলক। সবচেয়ে কম সময়ে ম্যান সিটির হয়ে হ্যাটট্রিক করার কীর্তি গড়লেন এই মিশরীয় স্ট্রাইকার।

মাত্র ১৪ মিনিটে হ্যাটট্রিক। তাও আবার বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। ম্যানচেস্টার সিটির পক্ষে দ্রুততম হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়ে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ওমর মারমুশ। তাতেই স্পটলাইটে মিশরের ২৬ বছর বয়সী তরুণ।

বলা হয়, মর্নিং শোজ দ্য ডে। মারমুশের যাত্রাটা যেন তার উজ্জ্বল প্রমাণ। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে অভিষেক হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে, তাও আবার ইউরোপের শীর্ষ দল রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকের সামনে ইউরোপ সেরার মঞ্চে স্বপ্নের এক অভিষেক। যদিও ৩-২ গোলে ম্যাচ হেরেছে সিটিজেনরা।

২০১৭ সাল থেকে জার্মান ফুটবলে খেলেছেন মারমুশ। শুরুটা উলফসবার্গে হলেও প্রথম তিন বছর ছিলেন রিজার্ভ দলে। এরপর ধারে সেন্ট পাউলি, স্টুটগার্টে খেলে শেষে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে যোগ দেন ফ্রাঙ্কফুর্টে। সেখানে ২৬ ম্যাচে ২০ গোল করে নজর কাড়েন তিনি।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৭ কোটি ইউরোতে তাকে দলে ভেড়ায় ম্যানচেস্টার সিটি। যেখানে প্রথম মাসেই পেয়েছেন হ্যাটট্রিকের দেখা। তাও আবার দ্রুততম হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়ে। সিটিজেনদের হয়ে ১১টি হ্যাটট্রিক করা আর্লিং হ্যালান্ডও পারেননি এমন রেকর্ডের দাবিদার হতে।

মারমুশ মিশরের হয়ে খেলেছেন ৩৫ ম্যাচ, গোল করেছেন ৬টি। স্বদেশি সালাহর মতোই প্রতিভাবান এই স্ট্রাইকার। গতি, ড্রিবলিং, বল পজিশনিং সব মিলিয়ে উইঙ্গার-স্ট্রাইকার দুই ভূমিকাতেই খেলার সামর্থ্য আছে তার। অবশ্য একটা জায়গায় মিসরের হয়েও কিছুটা আলাদা মারমুশ। মা-বাবার কানাডীয় নাগরিকত্বের সুবাদে তার শৈশব কেটেছে সেখানে। পরে কায়রোতে ফিরে ওয়াদি ডেগলা যুব অ্যাকাডেমিতে হাতেখড়ি হয় ফুটবলের।

কানাডা, মিসর ও জার্মানি হয়ে মারমুশের ঠিকানা এখন ইংল্যান্ড। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত সিটির সাথে থাকছেন এই মিশরীয়।

এসএস