নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে সেমি নিশ্চিতের হিসেবটা সহজই ছিল বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে জিততে না পারলেও দুই গোলের বেশি হজম করা যাবে না। এমন সমীকরণ সহজ হলেও দলের উপর ছিল কঠিন চাপ। সম্প্রতি বাংলাদেশের মিডফিল্ডার মনিকা চাকমার সংবাদ মাধ্যমে দেয়া কোচের বিপক্ষে এক সাক্ষাতকারে ক্ষিপ্ত কোচের প্রতিক্রিয়ার জবাব দেয়া ছিল মূল লক্ষ্য।
শুরু থেকে সে কাজটাই করার চেষ্টা চালিয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে মাঠে নেমে দ্রুত সময়ে তেমনভাবে আক্রমণে করতে পারেনি সাবিনা-মারিয়ারা। সে সুযোগে আক্রমণে যায় ভারত। তবে ব্যবধান গড়তে পারেনি প্রতিপক্ষরাও।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে সাবিনা খাতুনের কর্ণার থেকে আফিদা খন্দকারের চোখ ধাঁধানো গোল। তাতে ডাগআউট থেকে দেশের নারী ফুটবলের সমর্থকদের একসঙ্গে বাধভাঙ্গা উল্লাস।
এরপর টাইগ্রেসদের আর থামানো যায়নি। তহুরা খাতুনের জোড়া গোলে বিরতির আগেই ৩-০ ব্যবধান গড়ে সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
প্রথমার্ধ শেষের আগে অবশ্য এক গোল শোধ করে সান্তোষ কেশপের দল।
বিরতির পর আর কোনো দলেরই জাল কাঁপেনি। তবে ব্যবধান কমাতে চেষ্টা চালিয়ে গেছে ভারত। অন্যদিকে নিজের জাল অক্ষত রাখতে বদ্ধ পরিকর বাংলার নারীরা। লক্ষ্যে অবিচল থাকা টাইগ্রেসদের হারানোর সাধ্য আছে কার!