ফুটবল
এখন মাঠে
0

বিকেল পৌনে ৩টায় ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-নেপাল

নয় বছরের অধরা শিরোপার আক্ষেপ ঘোচানোর সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আজ (বুধবার, ২৮ আগস্ট) নেপালের মুখোমুখি হবে মারুফুল হকের শিষ্যরা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় পৌনে ৩টায়। যেখানে নিজেদের সেরাটা দিয়ে শিরোপা ঘরে তুলতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের যুবারা। তবে, ম্যাচের আগে দুঃসংবাদ অধিনায়ক এবং গোলরক্ষক মেহেদি হাসান শ্রাবণকে পাচ্ছেন না কোচ।

সেই ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয় সাফের বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতা। যেখানে প্রতিবারই মাঠের লড়াইয়ে উচ্ছল আর উদ্যমে ভরপুর লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের দেখা মিলে। তবে, দীর্ঘ নয় বছরে এখন পর্যন্ত শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়তে পারেনি বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক ফুটবল দল।

২০১৭ সালে প্রতিপক্ষ নেপালের বিপক্ষে খেলতে নেমে ফাইনাল জুজু শুরু হয় বাংলাদেশের। মাঝে ২০১৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০২২ সালে ভারতের কাছে অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে হেরে শিরোপা জয়ের প্রতীক্ষা আরও বাড়িয়েছে দেশের যুবারা। দুই বছরের ব্যবধানে আবারও শিরোপা ঘরে তোলার অভিযান বাংলাদেশের। এবার এ সুযোগ কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে প্রস্তুত নয় মারুফুল হকের শিষ্যরা।

গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফ বলেন, 'যারা বেঞ্চে থাকবে তারা আরও বেশি ইমপর্টেন্ট তার কাছে। সবাই যেন রেডি থাকে ম্যাচের জন্য যে, যার জায়গায় যে নামবে সে জায়গায় যেন কোচ আমাদের দিয়ে যেটা করাতে চেয়েছেন সেটা করতে পারি।'

ফাইনালের আগে বড় দুঃসংবাদ বাংলাদেশ শিবিরে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে চোটের কারণে দর্শক সারিতে থাকবেন দলের নিয়মিত গোলরক্ষক মেহেদি হাসান শ্রাবণ। উঠতি এই ফুটবলারের পরিবর্তে গোলপোস্টের নিচে দাঁড়াবেন সেমিফাইনালে বদলি হিসেবে নেমে অনবদ্য পারফর‌ম্যান্স করা মোহাম্মদ আসিফ।

তিনি বলেন, 'আগেও যেহেতু অনেকগুলো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছি, সেজন্য এই ম্যাচে মাঠে নামার পর নরমালভাবেই নিয়েছি যেহেতু টাফ সিচুয়েশন ছিল, মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। যেহেতু একটা এক্সিডেন্ট হয়ে গেছে সেজন্য দেশবাসী সবার কাছে দোয়া যে ওর জন্য দোয়া করবেন যেন শ্রাবণ দ্রুত মাঠে ফিরতে পারে।'

স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হওয়ার আগে বিগত লড়াইকে মাথায় রেখে ফাইনালে খেলার পরিকল্পনা সাজাতে হবে বাংলাদেশ কোচকে। এর আগে দু'দলের মাঠের লড়াইয়ে প্রতিবারের দেখায় শেষ হাসি হেসেছে নেপাল। এবার শিরোপা জিততে ব্যতিক্রম কিছুই করতে হবে মিরাজুল, নোভাদের। তবেই তো পতাকার সঙ্গে ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে পারবে বাংলাদেশের যুবারা।

tech