বিশ্বের নামিদামি ফুটবল ক্লাবগুলো খেলার মান ধরে রাখতে খেলোয়াড়দের পাশাপাশি কোচদের পেছনেও মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে। সেটার পরিমাণ অনেক সময় সেরা ফুটবলারদের চেয়েও বেশি হয়ে যায়। এই যেমন দিয়াগো সিমিওনে। ২০২৩-২৪ মৌসুমে তিনি আতলেটিকো মাদ্রিদ থেকে কামিয়েছেন ৩০ মিলিয়ন ডলার। যা কি না কোচদের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর্জেন্টাইন এই কোচের তালিমেই ট্রফির জন্য লড়াই করতে পারছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। ২০১১ সালে দায়িত্ব নেয়া সিমিওনে এখন পর্যন্ত ৮টি ট্রফি জিতিয়েছেন আতলেটিকো মাদ্রিদকে।
ইতালিয়ান কোচ রবার্তো মানচিনি কোনো ক্লাবে কোচিং করাচ্ছেন না। তবুও সবশেষ মৌসুমে তিনি আয় করেছেন ২৫ মিলিয়ন ডলার। সৌদি আরবের ক্লাবগুলোই শুধু টাকা ঢালছে না, দেশটির জাতীয় দলও যে কাড়ি কাড়ি অর্থ ব্যয় করছে মানচিনি সেটার বড় প্রমাণ। এর আগে ইতালি ফুটবল দল ছাড়াও নামিদামি ক্লাবে কোচিং করিয়েছেন রবার্তো মানচিনি।
ক্লাব ফুটবলে অন্যতম সফল কোচ পেপ গার্দিওলা। বার্সা, বায়ার্ন মিউনিখ আর ম্যানসিটি। তিন ক্লাবকে এ পর্যন্ত ৩৯টি ট্রফি জিতিয়েছেন এই স্প্যানিশ কোচ। ইংলিশ ক্লাব ম্যানসিটি থেকে ২০২৩-২৪ মৌসুমে তার উপার্জন হয়েছে ২২ মিলিয়ন ডলার।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের আরেক দাপুটে ক্লাব লিভারপুল। গেল মৌসুম পর্যন্ত দলটির ম্যানেজারের দায়িত্ব সামলেছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। বিদায়ী মৌসুমে ক্লপ আয় করে গেছেন ১৮ মিলিয়ন ইউরো। ডাগআউটে না থাকলেও লিভারপুর ফাউন্ডেশনের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করার কথা রয়েছে এই জার্মান কোচের।
২০২৩-২৪ মৌসুমে সর্বোচ্চ বেতনভোগীদের মধ্যে সেরা দশে আরও আছে টেন হাগ, আনচেলত্তি, টুখেলদের মতো তারকা কোচের নাম।