উয়েম্বলির পর বার্লিনেও দু:খ গাঁথা গল্পই রচনা হলো ইংল্যান্ডের। নান্দনিক আর গমিতয় ফুটবল পসরায় আসরে অপরাজিত থেকে ইউরো চ্যাম্পিয়ন্সশিপের ট্রফি উঁচিয়ে ধরলো স্পেন। আনন্দ আর উল্লাসের সেই আলোকিত মুহূর্ত যেন জার্মানির বার্লিন থেকে ছড়িয়ে পড়লো বার্সেলোনা আর মাদ্রিদ শহরে। আসরে রেকর্ড চতুর্থবারের মতো ইউরো মুকুট স্প্যানিশদের।
অথচ, ৫৮ বছরের ট্রফি জয়ের তৃষ্ণা মেটাতে সবই প্রস্তুত ছিল হ্যারি কেইন, বেলিংহ্যামদের জন্য। ফাইনালের মঞ্চ থেকে স্টেডিয়ামের বাইরে হাজারে সমর্থকদের ভীর কিংবা বার্লিন থেকে ১১শ' কিলোমিটার দূরে লন্ডন, ম্যানচেস্টার থেকে লিভারপুল সব শহরেই ছিল ইংলিশ ফুটবল সমর্থকদের উৎসব উদ্যাপনের আয়োজন। আগের আসরে ঘরের মাঠ ওয়েম্বলিতে হৃদয় ভেঙেছিল। এবার নিশ্চয় ফুটবলের স্বপ্নিল ট্রফি ঘরে ফিরবে। কিন্তু, ১৯৬৬ সালে পর ট্রফি যে আর ফিরবে না তা যে ফুটবল বিধাতা লিখে রেখেন। কপালে লিখন কি আর খণ্ডানো যায়। যায়নি। তাই প্রথমার্ধে অগোছালো ফুটবলে গোলের দেখা পায়নি কোন দলই।
বিরতির পর দৃশ্যপট পাল্টে স্বরূপে ফেরে স্পেন। উইলিয়ামস ও ইয়ামালের রসায়নে পিকফোর্ড নামক দেয়াল ভেদ করে লিড স্প্যানিশদের।
খানিকবাদে আবারও স্পটলাইটে সেরা উদীয়মান ফুটবলার ১৭ বছর বয়সী ফুটবলার লামিন ইয়ামাল। কিন্তু, গোলকিপার পিকফোর্ডে রক্ষা ইংলিশদের।
ফরম্যাশন আর খেলার ধরন নিয়ে সমালোচিত হয়েছেন ইংলিশ কোচ সাউদ গেইট। মুন্সিয়া দেখান পরপর দুই খেলোয়াড় বদলে। ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরাতে নায়কের ভূমিকায় বদলি নামা পালমারের দারুণ এই গোলে।
কিছুক্ষণ পর আবারও বিস্ময়বালক লামিন ইয়ামালের তীব্র শর্ট এবারও ইংলিশদের দেবদ্যুত গোলকিপার পিকফোর্ড।
কিন্তু, শেষ রক্ষা হলো না। পরিকল্পিত আক্রমণে দিশেহারা ইংলিশ ডিফেন্ডাররা। বদলি ওইয়ারসাবালের গোলে ইংল্যান্ডের স্বপ্নে সমাধি রচনা হয়।
শেষ মিনিটে সুযোগ এসেছিল থ্রি লায়ন্সদের। কিন্তু, গোলবারের নীচ থেকে স্পেনকে রক্ষা করেন দানি ওলমো। যে কারণে আর শেষ রক্ষা হয়নি ইংলিশদের। আর তাই টেমস নদীর জলে ৫৮ বছরের বেদনায় ভাসতে হলো ইংলিশদের।