৩৬ বছর পর ফাইনালে খেলার সুযোগ হাতছাড়া করলো নেদারল্যান্ডস। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে ইংলিশ ফুটবলার ওয়াটকিনসের গোলে ভেস্তে যায় অরেঞ্জ আর্মিদের স্বপ্ন। আর ইংল্যান্ড মেতে ওঠে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে ওঠার আনন্দে। শুধু তাই না নিজেদের দেশের বাইরে আয়োজিত কোনো মেগা আসরের ফাইনালে এবারই প্রথম খেলবে সাউথ গেটের শিষ্যরা।
নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে পুরো আসর জুড়েই সমালোচনার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে হ্যারি কেইন, বেলিংহ্যামদের। তবে, ইংলিশরা নিজেদের সেরাটা বোধহয় তুলে রেখেছিলে এই সেমিফাইনালের জন্য। অবশ্য ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পরে ইংল্যান্ড। ৭ মিনিটে রাইসের ভুলে বল পেয়ে যায় জাভি সিমন্স। জোরালো শটে ডাচদের লিড এনে দেন এই মিডফিল্ডার। গোল খেয়েই কমলা শিবিরে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে ইংল্যান্ড।
আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে পরা নেদারল্যান্ডসের রক্ষণভাগের ফুটবলারদের ভুলে পেনাল্টি পেয়ে যায় ইংলিশরা। সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেননি অধিনায়ক হ্যারি কেইন। মাত্র ১৮ মিনিটে সমতায় ফিরে নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই বল রাখে সাউথ গেটের ছাত্ররা। সমানভাবে আক্রমণও চালাতে থাকে দলটি। ফোডেন, বেলিংহ্যামরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে প্রথমার্ধেই ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারতো তারা। এর মধ্যে অবশ্য ডাচ ফুটবলারদের নেয়া এক শট গোলবারে লেগে ফিরে আসে।
প্রথমার্ধে বলতে গেলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে ম্যাচ রাখা ইংল্যান্ড দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলে। অবশ্য কোম্যানের শিষ্যরাও রক্ষণাত্মক খেলতে থাকে। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে ফন ডাইকের এক শট অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন ইংলিশ গোলকিপার পিকফোর্ড।
ম্যাচের শেষ দশ মিনিটে আবারও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে দু'দল। ফরোয়ার্ডদের চাপ সামলাতে কোণঠাসা হয়ে পরে ডিফেন্ডাররা। এর মধ্যে ৮৩ মিনিটে অবশ্য এগিয়েও গিয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে সাকার সেই গোল বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের কারণে।
বদলি হিসেবে নামা ওয়াটকিনসের গোল পাল্টে দেয় ম্যাচের চিত্র। ৯০ মিনিটে পালমারের পাস থেকে গোল দিতে কোনো ভুলই করেননি ওয়াটকিনস। কোয়ার্টার ফাইনাল আর রাউন্ড অফ সিক্সটিনে ইংল্যান্ডের একটি ম্যাচ গড়িয়েছে পেনাল্টি শুট আউটে আর অপরটি অতিরিক্ত সময়ে। এবার আর কোনো নাটকীয়তা নয় নির্ধারিত সময়ই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাউথ গেট বাহিনী।