লামিনে ইয়ামালের সতেরোর কোটা পূর্ণ হতে বাকি এখনও বেশ কয়েকদিন। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে স্পেনের এক যুগ পর ফাইনালে ওঠার গল্পের অন্যতম কারিগর এই কিশোরই।
দুই জায়ান্ট দল স্পেন ও ফান্সের গতিময় আর নান্দনিক ফুটবলের মিশেলে দারুণ লড়াই হয়। শুরু থেকে দুই দলের সেমির মঞ্চে নিজেদের সেরা খেলার চেষ্টা চলে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে দুই দলের সমর্থকদের উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় ইয়ামাল। তবে সে সুযোগ গোলবারের উপর দিয়ে বল পাঠিয়ে নষ্ট করে ফাবিয়ান রুইজ।
তারপর বসে থাকেনি ফ্রান্স। এমবাপ্পেকে থামিয়ে দেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার জেসুস নাভাস। তবে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা ফ্রান্স দলকে বেশিক্ষণ আটকাতে পারেনি স্পেনের ফুটবলাররা। রান্দাল কোলো মুয়ানির গোলে স্তব্ধ স্প্যানিশরা।
গতিময় ফুটবল খেলা স্পেনের ফুটবলারদের সমতায় ফেরার তাড়না। এমন কাণ্ড ঘটাবে ষোলো বছরের কিশোর, ঘুনাক্ষরেও হয়তো টের পায়নি এমবাপ্পে,দেম্বেলেরা। ২১ মিনিটে গোল করে দলের স্বস্তি ফিরিয়েছেন লামিনে ইয়ামালে। আত্মবিশ্বাসী স্পেনকে আর থামানোর সাধ্য আছে কার। চার মিনিটের ব্যবধানে লিড নেয় স্প্যানিয়ার্ডরা।
বিরতির আগে এবং পরে বেশ কয়েকবার ফ্রান্স সমতা কমানোর সুযোগ খুজলেও ভাগ্য দেবী সহায় হয়নি এমবাপ্পেদের। ধীরে ধীরে স্পেনের গতি কমতে থাকে। এরপরও এগিয়ে যাওয়ার পথ আবিষ্কার করতে পারেনি ফরাসিরা। শেষ পর্যন্ত আসরের শিরোপার অন্যতম দাবিদার ফ্রান্সের বিদায় হয়।