আর্জেন্টাইন তারকা সার্জিও অ্যাগুয়েরো ক্যারিয়ারের সোনালী সময় পার করেছেন ম্যানসিটিতে। ইংলিশ ক্লাবটিতে দশ বছর খেলে গোল করেছেন ১৮৪টি। সেখানে দীর্ঘ যাত্রা শেষে ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় যোগ দেন বার্সেলোনায়। তবে কাতালান ক্লাবে তার পথচলাটা সুখকর হয়নি। মাত্র চার ম্যাচ খেলার পরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিন মাসের জন্য মাঠের বাইরে যেতে হয় তাকে। তারপর আর ফেরা হয়নি।
স্প্যানিশ জায়ান্টদের হয়ে স্বল্প ম্যাচ খেললেও একটি গোল করেছিলেন তিনি। সেবারের মৌসুমে আশাব্যঞ্জক পারফর্ম না করলেও তার বাজারমূল্য ছিলো ১৫ মিলিয়ন ইউরো। টাকার অঙ্কে যা প্রায় ২০০ কোটি।
২০০৬ বিশ্বকাপের পর অবসর নিয়েছেন ফ্রান্সের সাবেক অধিনায়ক জিনেদিন জিদান। সে সময়টায় তিনি খেলতেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। বিশ্বকাপের বছর ক্লাব ফুটবলকেও বিদায় বলেন ফরাসি তারকা। বয়স তখন তার ৩৪ হলেও বাজারদর কম ছিলো না। প্রায় ১৮ বছর আগে জিদানের মার্কেট ভ্যালু সাড়ে ১২ মিলিয়ন ইউরো।
জার্মানের সাবেক ফুটবলার ফিলিপ লাম ফুটবল ক্যারিয়ারের সিংহভাগ সময় কাটিয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখে। ক্যারিয়ারজুড়ে মাঝমাঠ আর রক্ষণভাগে কোচদের আস্থার প্রতিদান দিয়ে গেছেন এই তারকা ফুটবলার। তাই অবসরের আগে তার বাজারদরটা ছিল ১০ মিলিয়নের বেশি।
তারই স্বদেশি অলিভার কানের মার্কেট ভ্যালুটাও কম নয়। ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন ১৬ বছর আগে। সর্বকালের সেরা এই গোলরক্ষকের সে সময়কার বাজারদর ছিল সাড়ে চার মিলিয়ন ইউরো। অবসরে যাওয়ার আগে কোনো গোলরক্ষকের এতো টাকা বাজারমূল্য হওয়ার নজির নেই।
তারকাদের মধ্যে সেই তালিকায় নাম আছে বেলজিয়ান ফুটবলার এডেন হ্যাজার্ডের। ক্যারিয়ারের শেষদিকে খেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। স্প্যানিশ ক্লাবটির জার্সিতে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি এই উইঙ্গার। তারপরও তার বাজারমূল্য পাঁচ মিলিয়ন ইউরো।
অ্যাগুয়েরো, জিদান, ফিলিপ লাম, অলিভার কানদের মতো বড় তারকা না হলেও তালিকায় বাজারদরের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছে জাম্বিয়ান ফুটবলার এনক এমওয়েপু। ১৮ মিলিয়ন ইউরোতে ব্রাইটনের হয়ে ক্যারিয়ার শেষ করেছেন তিনি।