মিলানের এক কোণে রাজ্যের হতাশা। অন্য পাশটায় বইছে আনন্দের ঢেউ। দুই দলের হাসি-কান্না বৃষ্টি হয়ে ঝরেছে গুইসেপে মেয়াজ্জায়। মাঠ থেকে ড্রেসিংরুম, উৎসব-উদযাপনের কমতি রাখেননি লওতারো মার্তিনেজরা।
যদিও মাঠটা এসি মিলানের। নানান হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে লিগ ট্রফি জয়ের সুক্ষ্ণ সম্ভাবনা ছিল তাদেরও। তবে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীরা কোন ছাড় দেয়নি। আগে থেকেই ১৪ পয়েন্টে এগিয়ে থাকা ইন্টার ব্যবধানটা নিয়ে গেল ধরাছোঁয়ার বাইরে। ১১৬ বছরের মিলান ডার্বির ইতিহাস প্রথমবার হয়ে গেল শিরোপা নির্ধারণের মঞ্চ।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই ইন্টারকে লিড এনে দেন আকেরবি। বেঞ্জামিন পাভার হেড থেকে বলটা জালে জড়াতে ভুল হয়নি তার।
দ্বিতীয়ার্ধ্বের শুরুতে দলের লিড দ্বিগুণ করেন মার্কাস থুরাম। শেষদিকে তোমোরি একটি গোল শোধ করলেও, জয়টা হাতছাড়া হয় এসি মিলানের। আর ৫ ম্যাচ হাতে রেখে উৎসবের উপলক্ষ্য পেয়ে যায় ইন্টার মিলান।
ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি ট্রফির সংখ্যায়ও নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ছাড়িয়ে গেলেন লওতারো মার্তিনেজরা। এবারের আগে দু'দলেরই ট্রফি ছিল সমান ১৯টি করে। ইনজাগির দল ছাড়িয়ে গেল তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের।
ইন্টার মিলানের কোচ সিমিওনে ইনজাগি বলেন, 'আমার কান্না পাচ্ছে। ছেলেরা অনেক প্ররিশ্রম করেছে। সবার আন্তরিক চেষ্টার ফল এই শিরোপা। কয়েকটি ম্যাচ আগেই আমরা জিতে গেলেও এখনই আমরা থেমে যাচ্ছি না। আমাদেরকে আরও প্ররিশ্রম করতে হবে।'
দলের প্রেসিডেন্ট স্টিভেন জ্যাং বলেন, 'নেরাজ্জুরি পরিবারের জন্য আজ ঐতিহাসিক একটি দিন। আজ আমাদের মন আনন্দে পরিপূর্ণ কারণ আমরা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছি। আমরা অসংখ্য চ্যালেঞ্জ উতরে গেছি, অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। আমাদের লক্ষ্য সবসময়ই এক ছিল ইতালি এবং ইউরোপের শীর্ষে পৌঁছানো। সবাই মিলে আমরা সেটি পূরণ করেছি।'
এবারের আসরে সবার চেয়ে বেশি ৭৯ বার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছেন ইন্টার মিলানের ফরোয়ার্ডরা। বিনিময়ে মাত্র ১৮ বার নিজেদের জাল রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা। এই এক তথ্যেই পরিষ্কার, কতটা দাপট দেখিয়ে সিরি আ জিতে নিয়েছে নেরাজ্জুরিরা