২০২২ সালে 'দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ' ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করে বিশ্বকে চমকে দেয় কাতার। মরুর গরম উপেক্ষা করে স্টেডিয়াম নিমার্ণের পাশাপাশি, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে বিশ্বকাপের আয়োজনকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে এশিয়ার দেশটি । লিওনেল মেসির হাতে ট্রফি উঠায় আর্জেন্টিনার ভক্তরাও কাতার বিশ্বকাপকে মনে রাখবেন আজীবন।
কাতার বিশ্বকাপে দাপুটে ফুটবল খেলে সেমিফাইনালে উঠেছিল আফ্রিকার দেশ মরক্কো। ফ্রান্সের কাছে সেবার স্বপ্নভঙ্গ হলেও ফুটবল বিশ্বে নিজেদের সামর্থ্যের যথেষ্ট প্রমাণ দিয়েছে মরক্কো। এবার বিশ্বমঞ্চে নিজেদের আধিপত্য জানান দিতে, ২০৩০ ফুটবল বিশ্বকাপ সামনে রেখে সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম বানাচ্ছে দেশটি। ২০৩০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে তিন মহাদেশের ৬ দেশে। যা আগে কখনোই দেখেনি কেউ। গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে উদ্বোধনী ম্যাচগুলো হবে দক্ষিণ আমেরিকার তিন দেশ আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়েতে। আর মূল অংশের আয়োজক ইউরোপের স্পেন-পর্তুগাল ও আফ্রিকার মরক্কো।
অতীতে বড় ইভেন্ট আয়োজন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে স্পেন-পর্তুগালের। তবে মরক্কোর জন্য এমন অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম। তাই বেশ ভালো এবং বড় পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামছেন মরক্কোর আয়োজকরা। ২০৩০ বিশ্বকাপের সূচি এখনো ঠিক না হলেও নিজ মাটিতে ফাইনাল আয়োজন করতে চায় মরক্কো। সে লক্ষ্যেই নির্মাণ করা হচ্ছে নতুন স্টেডিয়ামটি।
স্প্যানিশ দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্টেডিয়ামটির ডিজাইন ও নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে বিখ্যাত ব্রিটিশ আর্কিটেকচারাল ফার্ম পপুলাস। স্টেডিয়ামটিতে খেলা দেখতে পারবেন ১ লাখ ১৫ হাজার দর্শক। আর বিরাট এই কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে মরক্কোর খরচ পড়বে ৫০ কোটি ডলার।
মরক্কোর নর্থ ক্যাসাব্ল্যাঙ্কা থেকে ৩৮ কিলোমিটার দূরে বেন্সলিমান প্রভিন্সের এল মানসুরিয়া শহরে ১০০ হেক্টর জমির উপর নির্মাণ হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই স্টেডিয়াম। গ্র্যান্ড স্তাদে দি কাসাব্লাঙ্কা নামের স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হবে মরক্কোর ঐতিহ্য মেনেই। যেখানে থাকবে আলাদা অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক, ইনডোর সুইমিং পুল, শপিং সেন্টার ও পাঁচ তারকা হোটেল।
বর্তমানে দর্শক ধারণক্ষমতায় শীর্ষে রয়েছে উত্তর কোরিয়ার পিয়ংইয়ংয়ের রুনগ্রাদো স্টেডিয়াম। মরক্কোর পরিকল্পনা সফল হলে ২০৩০ বিশ্বকাপের ফাইনাল আয়োজনের পাশাপাশি মুসলিম দেশটিতে রচিত হবে নতুন এক ইতিহাস।