অনেক যাচাই বাছাই আর পরিকল্পনার পরই সেরা একাদশ নির্বাচন করেন কোচ। তবে ফুটবল যে গতির খেলা। যেখানে ম্যাচের পুরো সময় একই ফুটবলারকে দিয়ে কার্যসিদ্ধি হয়না দলের। তাই তো কোচের প্রয়োজন হয় সতেজ ফুটবলার। তাই কিনা ম্যাচ শুরুর পর অবস্থা বুঝে পরিবর্তন করা হয় ফুটবলার।
অনেক সময় একাদশের ফুটবলারদের থেকেও ক্লাবের বদলি খেলোয়াড়ের সাফল্য বেশি দেখা যায়। সময় গড়ানোর পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে ব্যর্থ ফুটবলারদের পরিবর্তে নামানো হয় স্কোয়াডে থাকা সাইড বেঞ্চে থাকা ফুটবলারদের। যারা নিজেদের কারিশমায় গোল করার পাশাপাশি গোল বানাতেও ওস্তাদ।
সেসব খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে এক গবেষণা করেছে অপটা। ফুটবলের তথ্য ও উপাত্ত নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান অপটার গবেষণায় দেখা গেছে, একাদশের ফুটবলারদের তুলনায় গোলের দিক দিয়ে এগিয়ে আছে বদলি খেলোয়াড়রা। তালিকায় ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের ক্লাবের মধ্যে সবার উপরে নাম আছে লিভারপুলের। এর পরই ইতালিয়ান সিরি আ ক্লাব আতালান্তা আছে এ তালিকায়।
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১২২ জন বদলি ফুটবলার মাঠে নামিয়ে তাদের কাছ থেকে ১১ গোল পেয়েছে লিভারপুল। বদলি হিসেবে ১১ টি গোলে সহায়তা করেছেন ফুটবলাররা। সিরি আ লিগে এ পর্যন্ত ১৩৯ জন বদলি মাঠে নামিয়ে তাদের কাছ থেকে ১০ গোল পেয়েছে আতালান্টা ক্লাবটি। পর্যায়ক্রমে ক্যালিয়ারি, বায়ার্ন মিউনিখ এবং সবশেষ আছে আর্সেনাল।
বদলি খেলোয়াড়ের গোলে প্রিমিয়ার লিগ এগিয়ে থাকলেও নামানোর দিকে চলতি মৌসুমে অনেকটাই পেছনে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলগুলো। এ মৌসুমে লিগে ম্যাচপ্রতি ৭ দশমিক আট নয় বদলি খেলোয়াড় নামানো হয়েছে। ম্যাচপ্রতি ৯ দশমিক তিন সাত বদলি খেলোয়াড় নামিয়ে এ তালিকায় শীর্ষে ইতালিয়ান সিরি আ।