ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত এই ফুটবলারকে গেল বুধবারই জামিন দেন আদালত। তবে ১০ লাখ ইউরোর জমা দিয়ে মিলবে জামিন। আদালতের দেয়া এমন শর্তে শুরু হয় জটিলতা। বিশাল অঙ্কের মারপ্যাঁচে এতদিন আটকে থাকতে হয় তাকে।
অবশেষে পরিবারের সহায়তায় জেল থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন এই ফুটবলার। মা এবং ভাইয়ের চেষ্টায় ধার করা ১০ লাখ ইউরো জমায় মুক্তি মিলেছে দানি আলভেজের। তবে স্পেন থেকে বার্সেলোনা, পিএসজি আর জুভেন্টাসের সাবেক এই ফুটবলারের শেষ পর্যন্ত ধারকৃত অর্থে মিলল সমাধান।
এএফপির খবর অনুযায়ী স্পেনের ব্যাংকে দুটি অ্যাকাউন্ট আছে ব্রাজিলিয়ান তারকার। তবে এর মধ্যে একটি একবারেই শুন্য থাকলেও অন্যটিতে আছে মাত্র ৫১ হাজার ইউরো। যা জামিনের শর্তের অর্থের তুলনায় খুবই সামান্য। নিজ দেশ ব্রাজিলের অ্যাকাউন্টও জব্দ করায় বিপাকে পড়ে ৪০ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
এর আগে বিচারকার্য চলাকালীন আদালতের নির্দেশে নেইমারের সহায়তায় দেড় লাখ ইউরো জমা করেন দানি। তবে ধর্ষণের অভিযোগ সত্যি হওয়ায় এবার আর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি দীর্ঘদিনের বন্ধু।
২০২২ সালে বার্সেলোনার একটি ক্লাবে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে নেইমার মেসির সাবেক সতীর্থের বিরুদ্ধে। এরপর দীর্ঘ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারকে। রায়ের পর আলভেজের আইনজীবী সাজা মওকুফের আপিল করেন। অন্যদিকে নয় বছরের শাস্তির দাবিতে আপিল করেন প্রসিকিউটর। আপিল নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত ব্রাজিল এবং স্পেনের পাসপোর্ট জমা দেয়ায় থাকতে হবে বার্সেলোনাতেই।