মধ্যেপ্রাচ্যে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সৌদিতে দুই সপ্তাহের ক্যাম্প করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। পরে বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচের চারদিন আগে পার্শ্ববর্তী দেশ কুয়েতে যায় জামাল-তপুরা। প্রায় ৩ সপ্তাহ চলে সেখানকার কন্ডিশনে অনুশীলন। তবুও ফিলিস্তিনের কাছে বড় ব্যবধানে হার।
এই প্রথম কোনো ম্যাচে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির কাছে ৫ গোল হজম করতে হলো বাংলাদেশকে। অর্থাৎ সৌদিতে দুই সপ্তাহের আবাসিক ক্যাম্প কোনো কাজে লাগেনি, তা ম্যাচের ফলেই স্পষ্ট। যদিও ফলাফল নিয়ে চিন্তিত নন বাংলাদেশ কোচ। লজ্জার হারের পর শিষ্যদের ভুল খুঁজতে ব্যস্ত তিনি।
হেড কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেন, এই ম্যাচের ফলাফল মূল বিষয় নয়। কারণ তা আমাদেরকে খুব বেশি বদলে দেবে না। আমাদের দলের কাছে যে চাওয়া, সেটার খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। ৪০ মিনিট আমরা যে পারফর্ম করেছি, সেটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখার সামর্থ্য কেন আমাদের নেই। কেন আমরা ওই ভুলগুলো করেছি, যে উদ্যম নিয়ে ম্যাচ শুরু করেছিলাম, সেটা হারানোর পর কেন ফিরে পেলাম না।
হেরে গেলেও ম্যাচের প্রথম ৪০ মিনিট বাংলাদেশের গোলপোস্ট ছিল অক্ষত। সেটাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন জামালদের কোচ। ফিলিস্তিনের কাছে প্রথম ম্যাচে হারের পর এ মুহূর্তে তার নজর ফিরতি লেগের লড়াইয়ে।
ক্যাবরেরা আরও বলেন, ‘দলের খেলার উন্নতি হচ্ছে। শুরুর ৪০ মিনিট আমরা যেভাবে খেলেছি, আমার মনে হয় শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এটাই আমাদের খেলা সেরা ৪০ মিনিট। এখন আমাদের শিখতে হবে, বিশ্লেষণ করতে হবে। উন্নতি করতে হবে, পরের ম্যাচের জন্য।’
বিশ্বকাপ প্রাক বাছাইয়ে ৬ ম্যাচের তিনটিতে খেলে বাংলাদেশের পয়েন্ট মাত্র এক। পরবর্তী ম্যাচে পয়েন্টের দেখা না পেলে এই পর্ব থেকে জামালদের বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে। ২৬ মার্চ ঘরের মাটিতে ফিরতি লেগে ফিলিস্তিনের মোকাবিলা করবে বাংলাদেশ।