১২ বছরের কারাদণ্ড চেয়েছিলেন ভুক্তভোগীর আইনজীবী। আর স্পেনের রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলিরা চেয়েছিলেন ৯ বছরের কারাদণ্ড। তবে, সাজা কিছুটা কমেছে ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধ করায়। যদিও তা দেয়ার আপতত সুযোগ ছিল না আলভেজের। কিন্তু তাকে এই বিপদ থেকে বাঁচিয়েছেন সতীর্থ নেইমার। ক্ষতি পূরণের দেড় লাখ ইউরো আগেই স্পেনের আদালতে পাঠিয়েছেন তিনি। যার ফলে সাজা কমে হয়েছে সাড়ে চার বছর।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার নৈশক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গেলো বছর জানুয়ারিতে মামলা হয় আলভেজের বিরুদ্ধে। সে মাসেই গ্রেপ্তার হন আলভেজ। এরপর থেকেই স্পেনে কারাবন্দী জীবন কাটছিল তাঁর। জেলখানায় আটক থাকা অবস্থায় আলভেজ ব্রাজিলে নিজের সম্পদের সাহায্যও নিতে পারেননি।
এমনকি সাবেক স্ত্রী দিনোরাহ সানতানার সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর আদালতের নির্দেশে ব্রাজিলে তাঁর সম্পত্তি জব্দ করা হয়। ফলে অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েন সাবেক এই বার্সা তারকা। অথচ একসময় ৪ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ড মূল্যের সম্পদের মালিক ছিলেন আলভেজ।
প্রথমিক পর্যায়ে ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করলেও, পরে ভুক্তভোগীর সম্মতিতেই এমনটা হয়েছে বলে দাবি করেন এই রাইট ব্যাক। তবে তা ধোপে টেকেনি আদালতে। যদিও, এখনও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা সুযোগ আছে দানি আলভেজের।
