রাউন্ড রবিন লিগে অপরাজিত দল হিসেবে শিরোপার জন্য মাঠে নেমেছিল আফিদার দল। পিছিয়ে পড়েও অন্তিম মুহূর্তে লড়াইয়ে ফিরে এককভাবে ট্রফি ধরে রাখার আভাস দিয়েছিল বাংলার বাঘিনীরা। কিন্তু টাইব্রেকারে বিপত্তি বাধার খবর তো কমবেশি সবারই জানা। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে এমন বিতর্কিত ফাইনাল হয়তো কখনও দেখা হয়নি ফুটবলপ্রেমীদের।
নানা নাটকীয়তার পর যৌথভাবে শিরোপা জেতে লাল-সবুজের দল। কিন্তু তা মেনে নিতে পারছেন না সাবেক ফুটবলাররা। ফাইনালে এমন ঘটনা তাদের কাছে অপ্রত্যাশিত।
সাবেক ফুটবলার আবদুল গাফফার বলেন, ‘সাফের যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের গাফিলতির কারণে এমনটি হয়েছে।’
আরেক সাবেক ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি বলেন, ‘এই ঘটনা তো ফুটবলের সঙ্গে যায় না। আর এটা মেনে নেয়াও যায় না। আর এরকম আগেও আমি দেখিনি। হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণেই এমনটি হয়েছে।’
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে অনেক টালবাহানার পর ফলাফলের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। না চাইলেও একরকম মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে দুই দল। যৌথ চ্যাম্পিয়ন হলেও পুরো আসরজুড়ে কেমন ছিলো বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের পারফরম্যান্স? উত্তরে প্রশংসা করলেন সাবেকরা। তাদের আশা, আফিদা-সাগরিকারা লম্বা সময় দেশের ফুটবলে সার্ভিস দিবেন।
সাবেকরা বলছেন, বয়সভিত্তিক দলগুলোকে সাফ খেলুড়ে দেশের পাশাপাশি আরও শক্তিশালী দলের সাথে খেলার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে তুলনামূলক বেশি উপকৃত হবে দেশের ফুটবল।