স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা অভিযোগে গেল ৩০ জানুয়ারি কোচের বিরুদ্ধে ১৮ নারী ফুটবলারের বিদ্রোহ ঘোষণা। এরপর জলঘোলা কম হয়নি। দফায় দফায় বৈঠকের পর তিনদিন আগে বাফুফে নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান খোদ জানিয়েছিলেন খেলোয়াড়দের সঙ্গে দ্বন্দ্ব কেটে গেছে।
মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, 'সিনিয়র মেয়েরাও একটা ব্রেক চাচ্ছে। এটা ওদের জন্য একটা ব্রেক হবে। তারপর ওরা ক্যাম্পে ফিরে আসবে, এরপর ওরা প্র্যাকটিস শুরু করবে।'
তবে যাদের হাতে নারী ফুটবলারদের দায়িত্ব তাদের মধ্যেই সমন্বয়ের অভাব। মাহফুজা আক্তার কিরণ সমাধানের কথা বললেও ঠিক তার উল্টো কথা বলছেন, বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য টিপু সুলতান। জানালেন, এখনও সমস্যা রয়েছে।
টিপু সুলতান বলেন, 'খুব বেশি কটা জটিলতা মনে হচ্ছে। বার ছোট জটিলতাও না। দুইটাকে ভেদ করে আমি মনে করি যে, এটা পজিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি আছে। এবং হয়েও যাবে বলে আমার মনে হচ্ছে।'
তার দাবি, যে ফুটবলাররা কোচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন, এখন পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকেও আন্দোলন প্রত্যাহারের কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
এদিকে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চলতি বছর প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সিনিয়ররা দলে না থাকার প্রভাব সে ম্যাচে পড়বে বলেও জানান টিপু সুলতান।
তিনি বলেন, 'অভিজ্ঞতার ব্যাপারে আছে। সাবিনাদের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। তাবে তাদের যে চিন্তা চেতনা আছে, আরও চার-পাঁচদিন আছে। এর মধ্যে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত চলে আসতে পারে বা তারা একতা হয়ে গেছে, এমন চকম আসার সম্ভাবনাও রয়েছে।'
শেষ পর্যন্ত কোচ ও নারী ফুটবলারদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব, সমন্বয়ের অভাবে থাকা বাফুফে কি মিটাতে পারবে? নাকি সংকট আরও বাড়বে? প্রশ্নগুলোর উত্তর ভবিষ্যদের কাছে তোলা থাক।