উদ্বোধনী দিনের প্রথম ম্যাচে হাটহাজারী পৌরসভা ফুটবল একাদশ ও মির্জাপুর খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়। অপর খেলায় ধলই ফুটবল একাদশ ১-০ গোলে নাঙ্গলমোড়া ফুটবল একাদশকে পরাজিত করে।
খেলোয়াড়রা বলেন, 'আমাদের টিমের অবস্থান মোটামুটি ভালো। অনেকদিন একসঙ্গে অনুশীলন করেছি। আমরা হাটহাজারী ফুটবল দল সুশৃঙ্খলভাবে খেলে যাবো। আমাদের আশা ছিলো একটা ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলবো। সেই আশা আমাদের পূরণ হয়েছে। সারাদিন কাজ করার পর সবাই মিলে খেলছি। খুব ভালো লাগছে।'
প্রবাসের মাটিতে খেলাধুলার আয়োজন খুব একটা দেখা যায় না। তবে এমন আয়োজন হলে প্রবাসীদের উৎসাহের কমতি থাকে না। আজমানের এই স্টেডিয়ামে হাজারও প্রবাসীর উপস্থিতি তেমনটাই জানান দিচ্ছে। আয়োজকরা জানান, আগামীতে বড় পরিসরে এই আয়োজনের পাশাপাশি ভালো খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি দল গঠনের পরিকল্পনাও করছেন তারা।
হালদা ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধক প্রবাসী ইসমাইল গনি চৌধুরী বলেন, 'আমরা আজকে শুধু খেলে চলে যাবো বিষয়টা এমন না। এখান থেকে আমরা একটা দল বাছাই করবো এবং সবসময়ের জন্য এই ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু রাখবো'।
আমিরাতের বৃহত্তর বাংলাদেশ কমিউনিটির বিনোদনের চাহিদা মেটাতে দেশটির আলাদা আলাদা প্রদেশের প্রবাসীদের নিয়ে এমন খেলাধুলার আয়োজন আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন মিশন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ডেপুটি কনসাল জেনারেল সাহেদুল ইসলাম বলেন, 'হাটহাজারী ছাড়াও অন্যান্য কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা যদি এমন আয়োজন করেন তাহলে সাধারণ মানুষ উদ্বুদ্ধ হবে এবং তারা আলাদা বিনোদনের পথ খোঁজে পাবে।'
এরআগে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট, ব্যবসায়ী সংগঠন ও কমিউনিটি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।