রিয়াল বেতিসের মাঠে খেলা হলেও ম্যাচে ফেভারিট হয়েই খেলতে নেমেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু নিজেদের মাঠে লড়াই করেছে বেতিস।
ম্যাচের শুরু থেকেই একচেটিয়া আধিপত্য দেখায় জাভি শিষ্যরা। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থেকে ১৪ মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল তারা। তবে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার পেদ্রি নিশানা খুঁজে পাননি। প্রথম সুযোগ হাতছাড়া করলেও গোল পেতে বেশি দেরি হয়নি সফররতদের। ম্যাচের ২১ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন তরেস।
তার ঠিক ৪ মিনিট পর আবারও গোল পেতে পারতো বার্সেলোনা। পোলিশ তারকা লেভানদোভস্কি গোলপোস্টে শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু তা রুখে দেন বেতিস গোলরক্ষক রুই সিলভা।
৩৯তম মিনিটে আবারও ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ আসে কাতালানদের। লামিনে ইয়ামালের জোরালো শট গোলবারে লেগে আসার পর ফিরতি বল পেয়ে বল জালে জড়ান তরেস। তবে, সেটা হয় অফসাইড। বিরতির আগে একই কারণে লেভানদোভস্কিও গোল পাননি।
দ্বিতীয়ার্ধ্বের শুরুতেই ব্যবধান বাড়ায় বার্সা। আবারও স্পটলাইটে তরেস। কিন্তু ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার আনন্দটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি তাদের। মাত্র ৩ মিনিটের মধ্যে দুটি গোল করে ম্যাচে সমতা আনে বেতিস। ক্লাবটির হয়ে জোড়া গোল করেন ইসকো। দ্বিতীয় গোলের পর যদিও অফসাইডের বাঁশি দিয়েছিলেন রেফারি। তবে, ভিএআরের সহায়তায় অফসাইড বাতিল হয়ে যায়।
৮৯ মিনিট পর্যন্ত সমতা ধরে রাখে রিয়াল বেতিস। ক্লাবটির সমর্থকরা হয়তো ধরেই নিয়েছিলেন ম্যাচটি ড্র হতে যাচ্ছে। কিন্তু নাটকীয়তা তখনও বাকি। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে গোল পেয়ে যায় বার্সা। বদলি হিসেবে নামা পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ফিলিক্স ব্যবধান ৩-২ করেন। আর অতিরিক্ত সময়ে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করে দলের ৪-২ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেন তরেস।
নাটকীয়তায় ভরপুর এই ম্যাচ জেতার পর কাতালান ক্লাবটি ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে পয়েন্ট টেবিলের ৩ নম্বরে।