অথচ তিনি খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুটা করেছিলেন বাস্কেটবলের মাধ্যমে। পরে ধীরে ধীরে নিজেকে পরিণত করেছেন দক্ষ ফুটবলার হিসেবে। মাত্র ২৫ বছরেই বিশ্বকাপসহ ক্লাবের হয়ে জিতেছেন সম্ভাব্য সব শিরোপা।
স্পেনে ফুটবলার তৈরি আঁতুড়ঘর বলা হয় বার্সেলোনার লা-মাসিয়াকে। সেখানেই নিজেকে তৈরি করেছেন ফিফার বর্ষসেরা নারী ফুটবলার আইতানা বোনমাতি। অল্প সময়ে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলায় মাত্র ১৬ বছর বয়সেই বার্সেলোনার মূল স্কোয়াডে ডাক পান বোনমাতি।
সুযোগ পেয়েই নিজেকে প্রমাণ করেছেন প্রতিনিয়ত। বিশেষ করে ২০১৮-১৯ মৌসুমে তো বোনমাতি ছিলেন অনন্য। ৩৭ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ১৩ গোল। আর ২০২০-২১ মৌসুমে তো বার্সার হয়ে ট্রেবলই জেতেন তিনি। সেবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে গোল দেয়ার পাশাপাশি হন ম্যাচসেরা।
বয়সের সাথে যত সহজে নিজেকে পরিণত করছেন তার বেড়ে ওঠা মোটেও অত সহজ ছিলো না। বোনমাতির বাবা-মা দুইজনই ছিলেন কাতালান ভাষা শিক্ষক। ছিলেন কাতালানের স্বাধীনতাকামীদের পক্ষে, এ কারণে বোনমাতির বাবাকে জেলও খাটতে হয়েছে। তার বাবার কারণে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষদের থেকে তিরস্কৃত হয়েছেন। তবুও দমে যাননি হার না মানা বোনমাতি।
খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুটা বাস্কেটবল দিয়ে করেন এই বার্সা তারকা। কিন্তু স্কুল পর্যায়ে ধীরে ধীরে দক্ষ হয়ে ওঠেন ফুটবলার হিসেবে। এরপর ফুটবলকেই বেছে নেন তিনি। মেয়ের ফুটবলে আগ্রহ দেখে ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনার যুব দলে ভর্তি করিয়ে দেন তার বাবা। তবে সেসময় আবাসিক ব্যবস্থা না থাকায় রোজ দুই ঘণ্টা গণপরিবহনে চড়ে অনুশীলনে যোগ দিতে হতো তাকে।
এরপরের গল্পটা তো এরইমধ্যে সবার জানা। তবে সবচেয়ে বড় অর্জনটা আসে ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে। বিশ্বকাপে তার অবদানের জন্য ব্যালন ডি অরের পর জেতেন ফিফা দ্য বেস্ট ফুটবলারের পুরস্কার।
মাত্র ২৫ বছর বয়সেই সাফল্যর চূড়ায় ওঠা বোনমাতি কোথায় গিয়ে থামেন সেটা সময়ের কাছেই তোলা রইলো।





