স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে প্রথমবার মুখোমুখি মোহামেডান-বসুন্ধরা কিংস। শক্তির বিবেচনায় সাদা কালোদের চেয়ে এগিয়ে কিংস। তবে, প্রথমার্ধ্বে দু'দলের লড়াইটা হয়েছে সমানে সমান।
নয় বছর পর ফাইনালে উঠে শুরুর দিকে মোহামেডান বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও গোল পায়নি ফিনিশিংয়ের অভাবে। অন্যদিকে, বসুন্ধরা কিংসও একাধিক আক্রমণ শানিয়েছে প্রতিপক্ষের ডেরায়।
১৫ মিনিটে রবসনই দলকে এগিয়ে নিতে পারতেন। তবে তাঁর দুর্দান্ত শট রুখে দিয়েছেন মোহামেডান গোলরক্ষক। সুযোগ এসেছিলো ৩৮ মিনিটেও। কিন্তু সোহেল রানার ক্রস থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ডরিয়েল্টন।
বিরতির পরপরই কিংস হয়ে যায় ১০ জনের দল। ৪৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন ফরোয়ার্ড রফিকুল ইসলাম। তারপর গোল পেতে দেরি হয়নি মোহামেডানের। ৫০ মিনিটে মোজাফফরভের কর্ণার থেকে সাদা কালো জার্সিধারীদের লিড এনে দেন ইমানুয়েল সানডে।
ঐতিহ্যবাহী দলটির আনন্দ অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পরের মিনিটেই ম্যাচে সমতা আনেন রাকিব। রক্ষণের ভুলে গোল হজম করে আলফাজের দল।
ম্যাচে আবারও এগিয়ে যেতে প্রানপণ চেষ্টা চালাতে থাকে মোহামেডান। বার বার সুযোগ তৈরি হলেও নিশানা পায়নি। পরে গোল দেয়া তো দূরে থাক, উল্টো গোল হজম করে বসে মোহামেডান।
প্রথমার্ধ্বের মতো আর ভুল করেননি ডরিয়েল্টন। ৮৬ মিনিটে এগিয়ে নেন কিংসকে। আর এই গোলেই মোহামেডানকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলে নেয় বসুন্ধরা কিংস।