আগামী মাসে বাংলাদেশ আর মিয়ানমার নারী ফুটবল দলের মধ্যকার দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচ চূড়ান্ত হয়েছিল। ম্যাচ দু'টি মিয়ানমারে হওয়ার কথা ছিল।
দেশটিতে সাবিনাদের সফর করতে পাঠানোর আগে নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠায় বাফুফে। প্রতি উত্তরে বাংলাদেশের ফুটবলারদের আপাতত মিয়ানমারে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন বলেন, 'আজকে একটা চিঠি পেয়েছি যে, এখন না খেলে আমরা ম্যাচটা রিশিডিউল করি। আমরা মিয়ানমারের সাথে কথা বলছি। আমরা যে যাচ্ছি না। এখনও তেমন না। সিকিউরিটির বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়ার জন্য আমরা কথা বলবো।'
মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বাফুফেরও ধারণা রয়েছে। জেনে শুনে তারপরও কেন তাদের আমন্ত্রণে রাজি হয়েছিল বাফুফে? জানতে চাওয়া হয়েছিল সাধারণ সম্পাদকের কাছে।
ইমরান বলেন, 'মিয়ানমারে কিন্তু এর আগেও ম্যাচ হয়েছে। এর কথা চিন্তা করেই আমরা ম্যাচ নিয়েছিলাম। সে কথা বিবেচনায় আমরা ম্যাচের কথা ভেবেছিলাম।'
র্যাংকিং বিবেচনায় মিয়ানমারের চেয়ে ঢের পিছিয়ে বাংলাদেশ। ফিফা উইন্ডোতে ম্যাচ দুটি খেলে ফলাফল বাংলাদেশের পক্ষে আসলে র্যাংকিংয়ে পড়তো ইতিবাচক প্রভাব। কিন্তু ফিফা উইন্ডোর নির্ধারিত সময়ের বাইরে খেললে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। তাছাড়া ম্যাচ সময়মতো না হলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বাফুফেকে।
ইমরান আরও বলেন, 'যেহেতু এটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ সেজন্য আমরা টিকিট নিয়েছিলাম। সব প্রস্তুতিই আছে আমাদের। মিয়ানমারের সাথে কথা বলে আমরা পরবর্তিতে জানাবো।'
চলতি বছরে মিয়ানমারের আগে সৌদি আরব ও লেবাননের সাথে খেলার কথা ছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের। নানা জটিলতায় সে ম্যাচগুলো আয়োজন করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।