বাফুফেতে বাজছে নির্বাচনী ডামাডোল। চলছে ক্ষণগণনা। কারা হতে যাচ্ছেন দেশের ফুটবলের শীর্ষ কর্তা, ১৬ বছর পদ আঁকড়ে রাখা কাজী সালাহউদ্দিনের চেয়ারে বসতে যাচ্ছেন কে? এসব নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই।
বসে নেই নির্বাচন কমিশনও। গেল সপ্তাহে বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভায় কমিশন গঠনের পর থেকেই তৎপরতা শুরু করে তারা। সোমবার প্রকাশ করা হয় হয় নির্বাচনী তফসিল।
বাফুফের নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'মনোনয়ন পত্র দাখিলের তারিখ হচ্ছে ১৪ এবং ১৫ অক্টোবর। মনোনয়ন পত্র যাচাই পরদিন ১৬ অক্টোবর। ১৯ অক্টোবর সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত, এবং ২০ তারিখ সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা। ২০ তারিখেই আমরা চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবো, ব্যালট নম্বর ঘোষণা করবো।'
বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে বিভিন্ন পদের মনোনয়ন ফরমের মূল্য গেল দুই নির্বাচনের মতোই রেখেছে নির্বাচন কমিশন। সভাপতি পদে ফরমের মূল্য এক লাখ টাকা। এরচেয়ে ২৫ হাজার কম সিনিয়র সহ-সভাপতি পদের। সহ- সভাপতি পদে ফরমের মূল্য অর্ধলাখ টাকা। আর ২৫ হাজার টাকায় কেনা যাবে নির্বাহী সদস্য প্রার্থী হওয়ার মনোনয়নপত্র।
জাতীয় নির্বাচনের সাথে বাফুফে নির্বাচনের রয়েছে আকাশ-পাতাল ফারাক। তফসিল ঘোষণার পাশাপাশি প্রার্থীদেরকে নির্বাচনী বিধিমালা স্মরণ করিয়ে দিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'বাফুফে নির্বাচন উপলক্ষ্যে কোনো ধরনের শোভাযাত্রা বা মিছিলের আয়োজন করা যাবে না এবং কোনো মাইক ব্যবহার করা যাবে না। কোনো প্রার্থী কোনো পোস্টার ব্যানার ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে এক পৃষ্ঠার মুদ্রিত লিফলেট সর্বোচ্চ এ-৪ সাইজ ব্যবহার করা যাবে।'
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ফুটবল সংশ্লিষ্ট অনেকেই রয়েছেন আত্মগোপনে কিংবা দেশের বাইরে। সশরীরে উপস্থিত না হয়ে কেউ নির্বাচন করতে পারবেন কি-না জানতে চাওয়া হয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে।
তিনি বলেন, 'যদি বৈধ পথে আসে তাহলে অংশগ্রহণ না করার কোনো কারণ দেখি না। আমাদের হাইকমিশনারের মাধ্যমে পাঠাতে পারলে মনে করবো এটা অথেনটিক। আর না হলে কে পাঠাইলো? কার মাধ্যমে দিলো?কেমন করে বুঝবো।'
২৬ অক্টোবর দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে চলবে বাফুফে নির্বাচন। সালাউদ্দিনের আমলে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করা তাবিথ আউয়াল ও তরফদার রুহুল আমিন এবার সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।