আন্তর্জাতিক ফুটবলে যেকোনো দলের কাছেই ৫-০ গোলে হারা খুবই হতাশার। তাও এবার এমন দলের কাছে যাদের বিপক্ষে আগে কখনই দুই গোলের বেশি হজম করতে হয়নি বাংলাদেশকে। আর সেই দলের বিপক্ষে কুয়েতে এমন হার পিরা দিচ্ছে বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে।
যদিও শক্তির বিচার কিংবা ফিফা রাঙ্কিং সবদিক দিয়েই সবদিক দিয়েই স্বাগতিকদের থেকে অনেক এগিয়ে ফিলিস্তিন। তবুও, স্বপ্নবাজ জামালরা। কারণ ঘরের মাঠ বলেই আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের কোচ। কিন্তু, মাঠে লড়াইয়ে যোগফল মেলাতে হলে সামর্থ্যের সবটুকু ঢেলে দিতে হবে লাল সবুজদের।
এই মাঠে শক্তিশালী লেবানন, আফগানিস্তান, মালদ্বীপের মতো দলের বিপক্ষে অপরাজিত জামাল তপুরা। পূর্বের এসব সুখকর স্মৃতি আর স্বাগতিক হিসেবে দর্শকদের সমর্থন। এসব কাজে লাগিয়ে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে শোধ নেয়া পালা বাংলদেশের।
অন্যদিকে কুয়েতে বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয়ের সুখকর স্মৃতি অনুপ্রেরণার যোগান দিচ্ছে ফিলিস্তিনকে। তবে, এরপরও ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াইটা যে সহজ হবে না সেটাও মানছেন দেশটির কোচ। সর্তক হয়ে মাঠে নামবে তারা। তাই আসছে নিয়মিত একাদশে পরিবর্তন।
ফিলিস্তিন ফুটবল দলের হেড কোচ মাকরাম ওবাউব বলেন, 'ঘরের মাঠে বাংলাদেশ বরাবরই শক্তিশালী দল। এই ম্যাচে আমাদের কঠিন রড়াই করতে হবে। যদিও কুয়েতে তাদের সাথে জয়, এ ম্যাচে আমাদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ দেবে।'
বরাবরই এ দেশের মানুষের সমর্থন পেয়ে থাকে ফিলিস্তিন, মঙ্গলবারের ম্যাচেও এর ব্যতিক্রম হবে না বলে আশাবাদী মাকরাম।
বসুন্ধরার এ মাঠে এখনও হারের মুখ দেখেনি বাংরাদেশ ফুটবল দল। তবে কুয়েতে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারার পর সেই ধারাবাহিকতা কতটা বজায় রাখতে পারে জামার ভূঁইয়ারা সেটা হয়তো মঙ্গলবারের ম্যাচ শেষেই জানা যাবে।