বছরের শেষ টুর্নামেন্টে আলো ছড়িয়েছে দেশের নারী ফুটবলাররা। তবে এসবের পরও তাদের জন্য স্থায়ী কোচ নির্বাচনে ধীরগতিতেই এগুচ্ছে ফুটবল ফেডারেশন। ম্যাচ বাই ম্যাচ চুক্তি বাড়ানো হচ্ছে বর্তমান কোচের সঙ্গে। আর তাতে আপাতত ফল মেলায় প্রধান কোচ নিয়োগে গড়িমসি শেষ হচ্ছে না বাফুফের।
অস্থায়ী কোচের ভূমিকায় সাইফুল বারী টিটুকে দিয়ে বছর শেষ করেছে বাফুফে। আপাতত কাজ চালালেও নতুন বছরে কোন কোচের অধীনে থাকবেন তা এখনও অজানা।
র্দীঘ ১৪ বছর ধরে নিজের হাতে গড়া নারী ফুটবলারদের অভিভাবকের দায়িত্ব থেকে গেলো মে মাসে অব্যাহতি দেন গোলাম রব্বানী ছোটন। সাফ জয়ী কোচের বিদায়ে নারী দলের দায়িত্ব এসে পড়ে বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলির কাঁধে।
তবে স্মলিও প্রধান কোচের বিদায়ের এক মাসের ব্যবধানে চাকরি ছেড়ে পাড়ি জমান নিজদেশ ইংল্যান্ডে। পরে সাবিনা, মান্ডারা নেপালের বিপক্ষে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলে সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটুর অধীনে।
তবে এশিয়ান গেমসের জন্য নিয়োগ দেয়া হয় দেশের শীর্ষ স্তরের কোচ সাইফুল বারী টিটুকে। তবে সেটাও স্বল্প সময়ের জন্য। মাসুরা, তহুরাদের এশিয়ান গেমসের কোচের দায়িত্বে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন টিটু। এরপরও কোচ সংকটে চুক্তি বাড়িয়ে বছরের শেষ ম্যাচে তার নির্দেশনায় সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ।
কোচ শুধু মাঠের খেলায় পথপ্রদর্শক নয়। একসময় সবকিছুকে ছাপিয়ে ধীরে ধীরে শিষ্যদের ভালোবাসার মানুষ হয়ে উঠেন। তেমনই একজন ছিলেন গোলাম রব্বানী ছোটন। নারী ফুটবলারদের নিজের মেয়ের মতই আগলে রাখতেন। দলে তার না থাকা এখনও মনে পড়ে নারী ফুটবলারদের। নতুন বছরে নতুন কোচের খোঁজে বাফুফে। যেখানে আবারও কোচ হিসেবে ছোটনকে চাওয়া অধিনায়কের।
সাবিনা বলেন, 'অনেকদিন তার অধীনে খেলেছি। মাঠে তাকে মিস করি। দক্ষিণ এশিয়ার সব দল সম্পর্কে তার ভালো জ্ঞান ছিল। কোচ হিসেবে তাকে আমার খুব পছন্দ। তবে খেলোয়ার হিসেবে ফেডারেশন যে কোচ দেবে আমাকে তার অধীনেই অনুশীলন করতে হবে।'
এদিকে নিজের পছন্দের থেকে বাফুফের সিদ্ধান্তকে এগিয়ে রাখছেন সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু।
লিটু বলেন, 'দেশী বিদেশী কোচ বড় কথা না, দলের সাথে কে ভালো করবে সেটাই আসল কথা। আমি মনে করি ফেডারেশন যাকে দেবে আমরা তার সাথে কাজ করব।'
গুঞ্জন আছে তৃতীয় দফায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে আবারো পা রাখতে পারেন পল স্মলি। এবার নারীদের কোচ হিসেবে গুরুর ভুমিকায় নতুন এক অধ্যায় শুরু হলে তা কতটা প্রভাবিত করবে দেশের নারী ফুটবলকে তা সময়ের খাতায় তোলা থাক।