অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে প্রিমিয়ার লিগে পেপ গার্দিওলার রঙিন পথচলার কি ইতি ঘটতে যাচ্ছে কি না! তবে গেল অর্ধযুগের দাপট যে আর নেই সিটিজেনদের, সেটি অন্তত পরিষ্কার। চলতি মৌসুমে অনেকটাই বিপদে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। একের পর এক হার আর ড্র'য়ে শিরোপার পথটা বন্ধুর হয়ে উঠছে ইতিহাদের দলটির জন্য।
প্রিমিয়ার লিগে টানা তিন ড্র'য়ে চাপের মুখে ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। এ অবস্থায় ভিলা পার্কে অ্যাস্টন ভিলার মুখোমুখি হয় গার্দিওলার দল। তবে নিজেদের মাঠে অ্যাস্টন ভিলা যে কতটা ভয়ংকর তা টের পেয়েছেন হ্যালান্ড, ডি ব্রুইনারা। চেনা মাঠে সবশেষ ১৩ ম্যাচে অপরাজিত থাকা দলটি সিটিজেনদেরও ধরাশায়ী করে।
শুরু থেকেই চালিয়ে যায় একের পর এক আক্রমণ। সিটির রক্ষণকে রীতিমত নাস্তানাবুদ করতে থাকে দলটি। যদিও স্কোরলাইন সত্যিকারের চিত্রটা ফুটিয়ে তুলতে ব্যর্থ। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে বেইলির করা একমাত্র গোলে জয় পেয়েছে অ্যাস্টন ভিলা। তবে তারা গোলের সুযোগ পেয়েছিল আরও। এডারসনের শক্ত হাতের প্রতিরোধ এই যাত্রায় বড় ব্যবধানের হার থেকে বাঁচিয়েছে ম্যানসিটিকে।
অ্যাস্টন ভিলাকে দৃঢ় হাতে রক্ষা করেছেন আর্জেন্টাইন গোলকিপার এমি মার্তিনেজ। এরলিং হ্যালান্ডের নেয়া দু'টি দারুণ শট তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। ম্যাচটাও ছিনিয়ে নিয়েছেন সিটির হাত থেকে।
এ জয়ে ১৫ ম্যাচ শেষে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৩ নম্বরে উঠে এলো ভিলা পার্কের দলটি। সমান সংখ্যক ম্যাচ শেষে ৩ হার আর ৩ ড্রয়ে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে নেমে গেল ম্যানচেস্টার সিটি।
অপরদিকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে চেলসিকে আতিথ্য দেয় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কোচ-খেলোয়াড় দ্বন্দ্বে মাঠ আর মাঠের বাইরে বাজে সময় কাটানো ইউনাইটেড এদিন অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায়। নিজেদের মাঠে চেলসিকে দাঁড়াতেই দেননি ব্রুনো, গার্নাচো'রা। যদিও স্কোরশিটে নামটা ম্যাকটমিনের। ১৯ মিনিটে গোল করেই দলকে এগিয়ে নেন তিনি।
প্রথমার্ধ্বেই পালমারের গোলে সমতা ফেরায় চেলসি।
তবে দ্বিতীয়ার্ধ্বে ভয়ংকর রূপে ফিরে আসে টেন হাগের ইউনাইটেড। একের পর এক করে গোছানো আক্রমন। ৬৯ মিনিটে তার ফল পায় ম্যানইউ। গার্নাচোর এ্যাসিস্ট থেকে গোল করে আবারো দলকে লিড এনে দেন ম্যাকটমিনে। ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রেড ডেভিলরা। প্রিমিয়ার লিগে অর্ধযুগ ইউনাইটেডকে হারাতে না পারা চেলসির অপেক্ষা বাড়লো আরো।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের ৬-এ উঠে এল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ১৫ ম্যাচে মাত্র ১৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দশে চেলসি।
শেফিল্ডের মাঠে গিয়ে তাদেরকে হারাতে অবশ্য খুব একটা বেগ পেতে হয়নি লিভারপুলকে। ভ্যান ডাইক আর জবোজলাইয়ের গোলে টেবিলের তলানির দলটিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। এই জয়ে টেবিল টপার আর্সেনালের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান ২-এ নামিয়ে আনলো লিভারপুল।