ভক্তদের কাছে আনন্দ উল্লাসেই ফুটে ওঠে ক্রিকেটের প্রতি হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা। চিনা, কাউন আর লাল মরিচের জনপদ খ্যাত যমুনা বেষ্টিত সারিয়াকান্দিবাসীর কাছে দিনটি ছিলো ক্রিকেটে মেতে ওঠার দিন।
স্বপ্নের সোনালী ট্রফি ঘরে তোলার ব্রত নিয়ে সারিয়াকান্দি পাবলিক লাইব্রেরী এন্ড ক্লাব মাঠে নামে থ্রি স্টার ও রয়্যাল স্ট্রাইকার্সের খেলোয়াড়েরা।
জাতীয় বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ না হলেও গোটা টুর্নামেন্টকে গোছাতে চেষ্টার কমতি ছিলোনা আয়োজকদের। সে কথাই উচ্চারণ করলেন জাতীয় ক্রিকেটার ঋতুমনিসহ অন্যরা।
টুর্নামেন্ট আয়োজকরা বলেন, 'খেলা বিলুপ্ত প্রায় এর মধ্যে দিয়ে আয়োজন। এই আয়োজনে দর্শক কিন্তু অনেক তারা সবাই খেলা প্রিয় মানুষ।'
জাতীয় দলের ক্রিকেটার ঋতু মণি বলেন, 'একবছরে যদি দুইটা বা তিনটা এমন টুর্নামেন্ট চালু হয় এইসব প্লেয়ার যদি বগুড়ার কোনো লিগে খেলতে পারে তাহলে আমি আশাবাদী এখান থেকে জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়ার বের করে মআনা সম্ভব।'
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান এমপি প্রিমিয়ার লীগ সিজন ফোরের এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয় ছয়টি দল। সেখান থেকে ফাইনালে উঠে আসে থ্রি স্টার ও রয়্যাল স্টাইকার্স। ফাইনালে খেলতে আসা দুই দলের অধিনায়ক জানালেন, কোচ আর তৃণমুলে ক্রিকেটে পৃষ্ঠপোষকতার অভাব ভোগাচ্ছে তাদের।
রয়্যাল স্টাইকার্স দলের অধিনায়ক বলেন, 'সারিয়াকান্দিতে তেমন কোনো কোচ নেই। এখানে যারা খেলছে সবাই নিজের দায়িত্বে খেলছে।'
থ্রি স্টার অধিনায়ক বলেন, 'অনেক বড় ভাই আছে তারা সহযোগিতা করছে তাদের সাহায্যে আসলে আমরা এখানে খেলি।'
প্রয়াত স্বামী আব্দুল মান্নান এমপি স্মরনে আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার উদ্বোধন শেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য বললেন ক্রিকেটের অগ্রগতির জন্য কোচ নিয়োগ ও সারিয়াকান্দিতে একটি স্টেডিয়ামের উদ্যোগ নেবেন তিনি।
বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান বলেন, 'যাতে কিশোররা বিপথে না যায়, খেলাধুলার প্রতি মনোযোগী হয় বা তারা মাদক থেকে দুরে থাকে, সামাজিক ভালো কাজে অংশগ্রহণ করতে পারে সেই জন্যই এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা। অস্থায়ীভাবে মাঝে মধ্যে কোচ আনার আশ্বাস।
প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যয়ে এ টুর্নামেন্টর শিরোপা জিতে নেয় রয়্যাল স্টাইকার্স। পরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেন আয়োজকরা।