শক্তির বিবেচনায় লিভারপুলের চেয়ে ঢের পিছিয়ে নিউক্যাসল ইউনাইটেড। কিন্তু নিজেদের মাঠে ম্যাচের প্রথমার্ধ্বে নিশানার খোঁজ পায়নি অলরেডরা। অনেক সম্ভাবনা জাগালেও গোল করতে ব্যর্থ হয় ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।
ম্যাচের ১২ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো লিভারপুল। ডান প্রান্ত থেকে সালাহর পাস পেয়ে গোলপোস্টে বল বাড়ান দারউইন নুনেজ। গোলরক্ষক প্রতিহত করলেও ফিরতি বল পেয়ে এন্দো শট নেন। তবে রক্ষণ দূর্গ ভেদ করতে পারেননি তিনি।
খানিকবাদেই কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল জালে জড়ান লুইস দিয়াস। কিন্তু অফসাইডের সংকেত দেন লাইন্সম্যান। ম্যাচের ২০ মিনিটে কলম্বিয়ান এই ফরোয়ার্ড ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় লিভারপুল। সেই সুযোগ মিস করেন মোহাম্মদ সালাহ। অলরেডদের আক্রমণের চাপ সামলে নিউক্যাসল কয়েকটি পাল্টা আক্রমণ করেছিলো, কিন্তু লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি।
প্রথমার্ধ্বে দু'দল গোলশূন্য থাকলেও বিরতির পর ডেডলক ভাঙতে সময় লাগেনি। ৪৯ মিনিটে গোল করে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন সালাহ। তবে লিডটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। ৫৪ মিনিটে সুইডিস ফরোয়ার্ড ইসাকের গোলে সমতা আনে নিউক্যাসল।
গোল হজম করে ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠে অলরেডরা। তার ঠিক ২০ মিনিট পরই আবারও গোলের দেখা পায় লিভারপুল। আক্রমণের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ম্যাচের ৭৮ মিনিটে তৃতীয় গোলের দেখা পায় ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। তিন গোল হজম করলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার জোর চেষ্টা চালাচ্ছিলো নিউক্যাসল। ৮২ মিনিটে দলটির ডিফেন্ডার বোটমান গোল করে ব্যবধান কমান।
দুর্দান্ত কয়েকটি সেভ করা নিউক্যাসল গোলরক্ষক ম্যাচের শেষ মূহুর্তে পেনাল্টি বক্সে ফাউল করে বসেন। ভিএআর থেকে পেনাল্টি পেয়ে যায় লিভারপুল। প্রথমবার ভুল করলেও সালাহর ওপরই আস্থা রাখে সতীর্থরা। সালাহও আস্থার প্রতিদান দেন। স্পট কিকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মিশরের এই ফরোয়ার্ড। তার গোলে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় লিভারপুলের। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করেছে অলরেডরা। ২০ ম্যাচ খেলে দলটির পয়েন্ট এখন ৪৫।