বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর। আবার সবচেয়ে বেশি সমালোচনার শিকারও এ টুর্নামেন্ট। তবে আগামী আসরে আর সমালোচনা চায় না বিসিবি। আর তাই শুরু থেকেই সাবধান ক্রিকেট বোর্ড।
বিপিএলের দ্বাদশ আসর শুরু হতে আর ২ মাসও বাকি নেই। তবে কয়টি দল খেলবে সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আপাতত আগ্রহী ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর তালিকা যাচাই-বাছাই করছে বিসিবি। ১১টি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম পর্যায়ে বাদ পড়েছে তিনটি দল। গতকাল (রোববার, ২ নভেম্বর) এক সভা শেষে বিষয়টি জানিয়েছেন বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু।
ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের আইন বিভাগ লিগাল কনসাল্টেন্সি ফার্ম অ্যান্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম ১১টি ইউআই অংশগ্রহণকারীর নথি পর্যালোচনা করেছে। এছাড়া কাউন্সিল ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ইউআই প্রক্রিয়া অনুমোদিত নন কমপ্লায়ান্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছে।’
আসন্ন আসরে দল পেতে আগ্রহী হলেও বিসিবির তালিকা থেকে বাদ পড়েছে এসকিউ স্পোর্টস। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটি আদালতে গেলে বিসিবির বিপিএল কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা। তবে দ্রুতই সমস্যাটির সমাধান করেছে ক্রিকেট বোর্ড।
আরও পড়ুন:
বিসিবির আইন পরামর্শক ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান বলেন, ‘তারা একটি মামলা করেছিল। তারা তো ডিফল্ট করেছিল আপনারা জানেন, তাদের পেমেন্ট ডিফল্ট করার কারণে তাদের টার্মিনেট করা হয়েছে। চিটাগাং কিংসের ফ্র্যাঞ্চাইজটা তাদেরকে দেয়ার জন্য এ মর্মে একটি আদেশ, তারা বিসিবির ওপর একটি ইনজাংশন নিয়েছিল। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে চেম্বার জজ একটি স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।’
যে ৮টি প্রতিষ্ঠান টিকে রয়েছে, তাদেরও দল পাওয়ার নিশ্চয়তা নেই। কোন কোন বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে কবে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর নাম জানানো হবে সেটিও জানিয়েছে বিসিবি।
বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার বলেন, ‘আমাদের ফার্স্ট প্রায়োরিটি হচ্ছে দুটো এখানে। প্রথমত বিপিএল শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সব খেলোয়াড়দের পেমেন্ট পরিশোধ, দ্বিতীয়ত দুর্নীতিমুক্ত করা।’
বিপিএলের দ্বাদশ আসর সমালোচনা মুক্ত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ গভর্নিং কাউন্সিল। এ লক্ষ্যে ধাপে ধাপে এগোচ্ছে ক্রিকেট বোর্ড। সব যাচাই-বাছাই শেষে আগ্রহী সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়েই দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে চায় বিসিবি।





