বাংলাদেশ ক্রিকেটে দুর্দিন যেন কাটছেই না। যেই ক্রিকেটাররা ‘সবেধন নীলমণি’, টানা বাজে হারে আজ তারাই যেন চরম ঘৃণার পাত্র। তরুণদের রোল মডেলদের শুনতে হলো ভক্তদের ‘দুয়োধ্বনি’।
এশিয়া কাপ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই ক্রিকেটাররা তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখে।
আফগানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই পরাজিত হয়ে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ দল। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পরাজয়ের ব্যবধান ছিল দুইশো রানের।
এ পরাজয়ের মাধ্যমে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের বর্তমান সংকট আরও স্পষ্ট। সিরিজে ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই বাংলাদেশ ছিল ছন্নছাড়া। আফগানিস্তানের বোলারদের কাছে রীতিমতো অসহায় ছিল ব্যাটাররা।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক রকিবুল হাসান বলেন, ‘রশিদ খানের বোলিং আমরা ধরতে পারলাম না। কোনটি লেগস্পিন, কোনটি গুগলি, কোনটি টপস্পিন। অনেকদিন ধরে খেলার পরও এখনো এটি ধরতে পারলাম না।’
শেষ ১২ ম্যাচে জয় মাত্র একটিতে। একসময়ে যে ওয়ানডেতে আধিপত্য বিস্তার করতো টাইগাররা সেই ফরম্যাটেই এখন করুণ হাল। যেন ‘ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা। ভক্তদের মণিকোঠায় থাকা একেক জন ক্রিকেটার যেন এখন সবার চোখের বিষ।
রকিবুল হাসান বলেন, ‘আপনি দর্শকদের সঙ্গে চিটিং করতে পারবেন না। দর্শক টাকা দিয়ে আসে, সময় ব্যয় করে আসে খেলা দেখতে। ৫০ ওভার খেলে, দর্শকরা দেখবে ২৫০ এর বিপক্ষে ২৭০ এমন কিছু। ৫০ ওভারের ম্যাচে এসে দেখলো একটি টিম একশো রানে অল আউট। আরেক টিম ৮ উইকেটে জিতে গেছে।’
দলীয় সমন্বয়হীনতা, ব্যাটারদের দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং কিংবা টেকনিক্যাল ভুল সব কিছু থেকে উত্তরণের পথ কোথায়?—এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর নেই ভক্তদের কাছেও।





