হামজা-শোমিতরা যোগ দেয়ায় বাংলাদেশ ফুটবল দলের শক্তিমত্তা বেড়েছে। তবে গোল করার কাজটা এখনও ঠিকঠাক করতে পারছে না লাল-সবুজদের প্রতিনিধিরা। ঘরের মাঠ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে পুরো ম্যাচ মাঠের খেলায় ভালো থাকলেও ফিনিশিংয়ে দুর্বলতা ছিল চোখে পড়ার মতো ত্রুটি। যেখানে সবচেয়ে আলোচনা হয়েছে যোগ্য স্ট্রাইকার সংকট নিয়ে।
ঘরের মাঠে এবার জামাল ভূঁইয়াদের সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ অ্যাসাইনমেন্ট হংকং-চীনের বিপক্ষে। বাঁচা-মরার লড়াইয়ে গোল আসবে কি না সে সন্দেহ দূর করেছেন আগের ম্যাচে ফরোয়ার্ড লাইনের নেতৃত্ব দেয়া রাকিব হোসেন। তবে এ ম্যাচেও মেইকশিফ্ট স্ট্রাইকার হিসেবে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে তার।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলার রাকিব হোসেন বলেন, ‘অনুশীলন ভালো হচ্ছে। কারণ মাঠে এবং মাঠের বাইরে যেমন আমাদের ভিডিও সেশন ও ক্লাস হচ্ছে, মাঠে ট্রেইনিংও হচ্ছে। সামনে হামজা এবং শোমিত আসছে, ওরা আসলে আমরা আমাদের দলীয় অনুশীলনটা করতে পারবো। প্রতিটি ম্যাচ নিয়েই কাজ হয়। এ ম্যাচের জন্যও আমাদের কাজ চলমান আছে, ইনশাআল্লাহ এ ম্যাচে গোল হবে।’
সিঙ্গাপুর ম্যাচে সুযোগগুলো কাজে লাগাতে না পারায় এখনও আফসোস আছে রাকিবের। তবে ভুলগুলো শুধরে সামনের দুই ম্যাচে ভালো কিছু উপহার দিতে চায় বাংলাদেশ দল।
আরও পড়ুন:
রাকিব হোসেন বলেন, ‘ওই ম্যাচে আমরা অনেক আক্রমণ করেছি, অনেক কর্নার পেয়েছি, আমরা একটা গোলও পেয়েছিলাম। সামনের ম্যাচগুলোর জন্য আমরা সেট পিস নিয়েও কাজ করছি।’
কোচ কাবরেরা কোচিং পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা হচ্ছে ফুটবল মহলে। তবে এসব কথা পাশ কাটিয়ে দলের উন্নতিতেই ব্যস্ত এ স্প্যানিশ। হামজা-শোমিতদের প্রভাব কাজে লাগিয়ে শক্তিশালী দলটিকে হারানোয় বদ্ধপরিকর ক্যাবরেরাও।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেন, ‘ঘরের মাঠে তিন পয়েন্ট আদায় করার বড় সুযোগ আমাদের সামনে। এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করতে ও শেষ পর্যন্ত লড়ে যেতে জয় পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘হামজা-শোমিতদের কাছ থেকে অবশ্যই ভালো পারফরম্যান্স আশা করবো। তবে সবাইকেই ম্যাচে অবদান রাখতে হবে।’
ক্যাবরেরার চুক্তির মেয়াদ ক্রমশই কমছে। চীন-হংকং ম্যাচের ফলের ওপর বাংলাদেশ দলের সঙ্গে এ স্প্যানিশ কোচের থাকা না থাকার বিষয়টিও নির্ভর করছে অনেকটা ।
তবে দেশের ফুটবল ভক্তরা চাইবে সামনের দুই ম্যাচে জয় এনে দিয়ে শেষ সময়টা স্মরণী করে রাখুক ক্যাবরেরা, সঙ্গে বাংলাদেশ জমিয়ে তুলুক এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের লড়াই।





