এবারের এশিয়া কাপে দ্বিতীয়বারের মতো ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ। আগের সব বিতর্ক ছাপিয়ে শেষ ম্যাচে হ্যান্ডশেক ইস্যু হয়েছিল দুই দেশের আলোচনার বিষয়। তারই যেন পুনরাবৃত্তি হলো সুপার ফোরের এ ম্যাচেও।
টসের পর নিয়মানুযায়ী হাত মেলাননি দুই অধিনায়ক। এমনকি ম্যাচ শেষেও ভারতের ক্রিকেটারদের দেখা যায়নি মাঠে নামতে।
১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ো শুরু করেন ভারতীয় দুই ওপেনার অভিষেক শর্মা ও শুভমান গিল। পাত্তাই পাচ্ছিলেন না শাহিন আফ্রিদি, সাইম আইয়ুবরা। চার-ছক্কার পশরা সাজিয়ে ২৪ বলে অর্ধশতক তুলে নেন অভিষেক।
১০৩ রানের মাথায় ৪৭ রান করে ফাহিম আশরাফের কাছে ধরা দেন গিল। পরের ওভারেই শূণ্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ভারতীয় অধিনায়ক সুরিয়া কুমার ইয়াদাভ। ততক্ষণে কিছুটা হলেও হাসি ফোটে পাকিস্তানি দর্শকদের মুখে।
আরও পড়ুন:
৩৯ বলে ৭৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আবরার আহমেদের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন অভিষেক। এরপর ভারতের হাল ধরেন তিলক ভার্মা ও সানজু স্যামসন। ১৩ রান করে স্যামসন আউট হলেও পান্ডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিলক ভার্মা, ভারত জয় পায় ৬ উইকেটে।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের দেখেশুনে খেলতে থাকেন পাকিস্তানি দুই ওপেনার ফখর জামান ও শাহিবজাদা ফারহান। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি ফখর। ৯ বলে ১৫ রান করে পান্ডিয়ার বলে কট বিহাইন্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় তাকে।
এরপর ক্রিজে আসেন সাইম আইয়ুব। ফারহানের সঙ্গে জুটি গড়ে ঘোরাতে থাকেন রানের চাকা। তবে ১৭ বলে ২১ রান করে তাকেও ফিরতে হয়। একপাশ আগলে ছড়ি ঘোরান ফারহান।
হোসাইন তালাতও সঙ্গ দিতে পারেননি শাহিবজাদাকে। ১১ বলে ১০ রান করে আউট হন তিনি। বেশকয়েকটা উইকেট হারিয়ে রান তোলার গতি হয়ে যায় মন্থর। ৪৫ বলে ৫৮ রান করে ফিরতে হয় ফারহানকেও।
শেষ পর্যন্ত ফাহিম আশরাফের ৮ বলে ২০ আর অধিনায়ক সালমান আঘার ১৭ রানের ওপর ভর করে ১৭১ রান সংগ্রহ নিয়ে মাঠ ছাড়েন পাকিস্তানি ব্যাটাররা।





