‘অভিশপ্ত’ বিসিসিআইয়ের সঙ্গে স্পন্সরশিপে জড়িয়েই অসুবিধায় প্রতিষ্ঠানগুলো!

বিসিসিআইয়ের লোগো ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোগো
বিসিসিআইয়ের লোগো ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোগো | ছবি: সংগৃহীত
0

সাহারা, অপ্পো, বাইজুস থেকে ড্রিম ইলেভেন, ভারতীয় ক্রিকেটে বড় রকমের প্রত্যাশা নিয়েই যুক্ত হয়েছিল প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে স্পন্সরশিপের পরেই বড় রকমের ধাক্কা খেতে হয়েছে সব প্রতিষ্ঠানকেই। কেউ নিষিদ্ধ হয়েছেন, কেউ হয়েছেন দেউলিয়া। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে যুক্ত হওয়া স্পন্সরদের কেউই বর্তমানে নেই সুবিধাজনক অবস্থায়।

ভারতের জার্সিতে নিজেদের নাম উঠিয়ে ব্যবসার প্রসার ঘটানো। আর এরপরেই কখনো আর্থিক কেলেঙ্কারি, কখনো বা সরকারি হস্তক্ষেপে কক্ষপথ থেকে ছিটকে যাওয়া, গেলো একদশকে ভারতীয় ক্রিকেট যেন স্পন্সরদের জন্য অভিশপ্তই হয়ে উঠছে। যার সবশেষ উদাহরণ ড্রিম ইলাভেন। 

সম্প্রতি ভারত সরকারের অনলাইন গেইমের এক আইন পাশের পর জাতীয় দলের স্পন্সরের জায়গা হারিয়েছে এ ফ্যান্টাসি গেম প্রতিষ্ঠান। বড় রকমের আর্থিক ক্ষতির পর ৩৫৮ কোটি রুপির চুক্তি থেকে সরে আসে ড্রিম ইলাভেন।

এর আগে, একই রকমের দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছিল সাহারা। প্রায় এক দশক ভারতের স্পন্সর ছিল প্রতিষ্ঠানটি। যুক্ত ছিল বাংলাদেশের সঙ্গেও। তবে ২০১৪ সালে বড় রকমের আর্থিক কেলেঙ্কারি এবং আইনি জটিলতায় জড়ায় সাহারা। সরকারের হস্তক্ষেপের পর ভারতের ক্রিকেটের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন হয় তাদের।

আরও পড়ুন:

এরপরেই এসেছিল অপ্পো। শুরুটা বড় অঙ্কের বিনিময়ে হলেও ভারত এবং চীন সরকারের মধ্যে জটিলতার মাঝে পড়ে যায় মোবাইল প্রস্তুতকারক এ প্রতিষ্ঠানটি। ভারতের বাজারেও নাজুক সময় পার করে অপ্পো। 

সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান স্টার স্পোর্টসও যুক্ত হয় ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে। কিন্তু আর্থিক কেলেঙ্কারি জড়িয়ে যায় তাদের নামের পাশেও।

তবে সবচেয়ে বড় রকমের বিপর্যয় দেখেছিল বাইজুস। প্রতিষ্ঠার এক বছরের মধ্যেই ভারতের জার্সি স্পন্সর হয় তারা। পাশাপাশি বিশ্বকাপেও দেখা গিয়েছিল এডু-টেক প্রতিষ্ঠানটিকে। কিন্তু বড় রকমের সাফল্যের চাপ সইতে পারেনি তারা। কোভিড পরবর্তী সময়ে বিসিসিআইয়ের কাছেই ১৫৮ কোটি রুপি বকেয়া ছিল বাইজুসের। এক পর্যায়ে দেউলিয়াই হয়ে পড়ে সম্ভাবনাময় এ প্রতিষ্ঠান।

এশিয়া কাপের আগে এই মুহূর্তে ভারতের জার্সি স্পন্সর শূন্য। তবে খুব দ্রুতই এই সংকট কেটে যাবে বলে বিশ্বাস করে বিসিসিআই। কিন্তু, সঙ্গে এও বড় প্রশ্ন, ভারতের স্পন্সরশিপ নিয়ে পরের দুর্ভোগটা কাকে সইতে হবে।

এসএইচ