সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেয়েছে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম টেস্টে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচার লড়াই টাইগারদের জন্য। নিজেদের মানসম্মান বাঁচানোর জন্য চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের জয় ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।
‘ক্রিকেট পাগল’ জাতি হওয়ায় ভালো করলে যেমন প্রশংসায় জোয়ারে ভাসান সমর্থকরা, ঠিক বিপরীত রূপ দেখাতেও সময় নেন না। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমালোচনাটাই বেশি সহ্য করতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। তবে এমন পরিস্থিতিতে সমর্থকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ।
কোচ বলেন, ‘ক্রিকেটের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা কতটা, তা আমি জানি। তাই সবাইকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ করছি। আমরাও আমাদের কাজ ঠিকভাবে করছি।’
প্রথম ম্যাচের পরে স্কোয়াডে দুজন যুক্ত হয়েছেন। মূলত সাদা বলে পারফর্ম করা খেলোয়াড়রা পেয়েছেন সুযোগ। বাংলাদেশের বাস্তবতায় অসহায়-ই শোনালো কোচকে।
কোচ বলেন, ‘এটা আদর্শ কিছুই নয়, কিন্তু বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট যেভাবে চলে সেখানে আমাদের হাতে কিছু নেই। আমাদের ওপেনারের প্রয়োজন ছিল, তাই এর কোনো বিকল্পও নেই।’
খেলার বাইরের বিতর্কও অবশ্য থেমে নেই দেশে। ডিপিএলে তাওহিদ হৃদয়ের শাস্তি প্রসঙ্গে দফায় দফায় হয়েছে আলোচনা, বিতর্ক, সমালোচনা আরও নানা কিছু। যদিও এসব থেকে বেশ দূরে চট্টগ্রামে রয়েছে বাংলাদেশ দল। কোচ সিমন্সও জোর দিলেন এসব চিন্তা থেকে দূরে থাকার ব্যাপারে।
কোচ বলেন, ‘আমি ও আমার সহকর্মীরা চেষ্টা করছি খেলোয়াড়দের বাইরের সবকিছু থেকে দূরে রাখতে। আজ সন্ধ্যায় আমাদের মিটিং, এই মুহূর্তে আগামী পাঁচ দিনের ম্যাচ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে আমরা ভাবছি না।’
২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।
