পবিত্র ঈদুল ফিতরের বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। ছুটির দিনে ভিড় বেড়েছে বাজারে। তবে নিত্যপণ্যের দোকানে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও অস্বস্তি সবজি ও মাংসের বাজারে।
রাজশাহীর বাজারজুড়ে বেড়েছে ঈদে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর বেচাকেনা। বিক্রেতারা বলছেন, সবচেয়ে বেশি চাহিদা সেমাই-চিনির। পাশাপাশি, তেল ও চালের সাথে বিক্রি বেড়েছে পোলাও চাল, নুডুলস, গুঁড়ো দুধ ও মুদি সামগ্রীর।
একই চিত্র দেখা যায় বরিশালে। খোলা পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা কেজিতে। আর কেজির প্যাকেট মিলছে ১৬০-১৬৫ টাকায়। লাচ্ছা সেমাইয়ের প্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে ৪৫-২৭০ টাকায়। এছাড়া স্থিতিশীল রয়েছে মশলার বাজার। পণ্যের দাম নাগালের মধ্যে থাকায় খুশি ক্রেতারা।
তবে ভিন্ন চিত্র দেখা যায় মাংসের বাজারে। বেশ চড়া মুরগির বাজার। কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার, সোনালী ও লেয়ার মুরগির দাম। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ৮শ' টাকায় বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। দাম বৃদ্ধির জন্য ফিডের বাড়তি দর ও চাহিদার তুলনায় সরবরাহ সংকটকে দুষছেন বিক্রেতারা।
এদিকে রমজানের শেষ দিকে মেহেরপুরে কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে সবজির দাম। বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম ১শ' ছুঁই ছুঁই। বাজারে পটল ৮০-৯০ টাকা, ঢেঁড়শ ৯০-১০০ টাকা, শসা ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বাজার দরের লাগাম টানতে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতাদের।