২০০৫ থেকে লাল-সবুজের পতাকাকে ১৪ বার আইসিসি ইভেন্টে প্রতিনিধিত্ব করেছেন এই উইকেট কিপার ব্যাটার। তবে বিগত সময়ে ব্যাট হাতে তার নির্লিপ্ততা প্রশ্ন তোলে দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে। ভারতের সাথে গোল্ডেন ডাক আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কান্ডজ্ঞানহীন শট- যেন খাঁদে পড়া দলকে মাটিচাপা দেয়ার কাজটাই করেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিক।
যদিও সুযোগ পেয়েছেন এক ম্যাচে, তবে মুশফিকের হাতে হাত রেখে দলকে বিপদে ফেলার কাজটা করেছেন আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। পুরান চাল ভাতে বাড়ে নাকি পুরান চালের আধিক্য ঘটাতে পারে ভাতের সর্বনাশ- কোন বাক্যটা এখন টাইগার ক্রিকেটের ট্যাগলাইন এ নিয়ে হতে পারে আলাদা আলোচনা। তবে দেশে একটা কথা প্রচলিত আছে না? টাইগার ক্রিকেটে সিনিয়রদের বিদায়টা নাকি সম্মানের সহিত হয় না, কিন্তু সিনিয়ররা কি জানেন, কখন থামতে হবে? কখন জায়গা ছাড়তে হবে তরুণ ক্রিকেটারদের কাছে?
টাইগার ক্রিকেটের এই অভিজ্ঞতা প্রীতিতে বিরক্ত ভারতের সাবেক ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিক। এই বয়সেও মুশফিক-মাহমুদুল্লাহদের খেলা চালিয়ে যাওয়া দুশ্চিন্তায় ফেলেছে সাবেক এই উইকেটকিপার ব্যাটারকে।
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিক বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম ২০২৩ বিশ্বকাপের পর মুশফিক-রিয়াদ দুজনেই অবসরে যাবেন। তবে সেটা না হওয়ায় আমি অবাক হয়েছি। ধারাবাহিকভাবে তারা খারাপ খেলছে আর আপনি এখনও বলছেন তাদের বিকল্প নাই! এটা তরুণ ক্রিকেটারদের ওপরেও প্রভাব ফেলছে।’
ক্রিকেট বোর্ডে কান পাতলেই শোনা যায় অর্থের ঝনঝনানি, সাথে সমর্থকদের নিঃস্বার্থ সমর্থন তো রয়েছেই। কার্তিকের শংকা এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশের পরিণতি হবে জিম্বাবুয়ে কিংবা আয়ারল্যান্ডের মতো।
দিনেশ কার্তিক বলেন, ‘আমার জানা মতে বিসিসিআইয়ের পর বিসিবি-ই একমাত্র বোর্ড, যাদের আর্থিক কোনো ঋণ নেই। সেই দলটাই সাফল্য পাচ্ছে না, এটা মেনে নেয়া কঠিন। আগের আইসিসি ইভেন্টগুলোতেও তারা ভালো দল হিসেবেই খেলেছে। দুই একটা ম্যাচও জিততো তারা। তবে সাকিব চলে যাওয়ার পর তাদের সবকিছুই ছন্ন ছাড়া। এভাবে চলতে থাকলে তারা জিম্বাবুয়ে কিংবা আয়ারল্যান্ডের কাতারে নেমে যেতে পারে।’
দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আর এক ত্রিদেশীয় ট্রফি ছাড়া বাংলাদেশকে কোনো শিরোপা এনে দিতে পারেননি টাইগার ক্রিকেটে পঞ্চপান্ডব নামে পরিচিত অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। দেশের কোটি ক্রিকেটপ্রেমী কিংবা দীনেশ কার্তিকের মতো ক্রিকেটাররা সেটি অনুধাবন করতে পারলেও বিসিবি যেন দাঁড়িয়ে আছে মরুভূমির মরিচিকায়। চোখে বাঁচার আশা দেখলেও দিনে দিনে যেন ডুবছে দেশের ক্রিকেট।