২১ বছর বয়সেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী নাবিলের ক্রিকেটকে বিদায়

ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

২১ বছর বয়সে হঠাৎই ক্রিকেটকে বিদায় বলে আলোচনায় অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। শরীরে নানারকম রোগ জেঁকে বসায় বাধ্য হয়েই ছাড়তে হয়েছে ক্রিকেট। তাই আপাতত সুস্থ হওয়াটাই জীবনের লক্ষ্য বলে মনে করেন এই তরুণ ক্রিকেটার।

সম্প্রতি অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার প্রান্তিক নওরোজ নাবিল বলেন, 'আপনারা যেভাবে নিশ্বাস নেন, প্রতিটি দিন যেভাবে ঘুম থেকে উঠেন, যেভাবে ঘুমাতে যান, আমি ওইরকম চার পাঁচটা দিন আগে আমার জন্য চাই।'

২০২০ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে তার একটি ইন্টারভিউ মুগ্ধতা ছড়িয়েছে সাউথ আফ্রিকা থেকে বাংলাদেশে। বাচনভঙ্গি আর শক্ত মানসিকতা প্রান্তিক নওরোজ নাবিলকে করেছিল সবচেয়ে আলাদা।

কিন্তু ওই যে বলে না, কপালের লিখন তো আর বদলানো যায় না। যায়নি নাবিলের ক্ষেত্রেও। মাত্র ২১ বছর বয়সেই থামতে হয়েছে, ছাড়তে হয়েছে জীবনের অধ্যবসায় অর্থাৎ ক্রিকেট।

অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার প্রান্তিক নওরোজ নাবিল বলেন, 'আসলে স্বাস্থ্যের জন্য, এছাড়া আর কিছুই না। আমি অনেকদিন হলেই স্ট্রাগল করছি। যে স্টেজে এসে মনে হয়েছে যে আর সম্ভব না, তারপরও এক স্টেপ দিয়েছি, তখন মনে হয়েছে এখন আর সম্ভব না।'

চিকিৎসার জন্য নিজ খরচে গিয়েছেন সিঙ্গাপুরে, কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ ছিল, ক্রিকেট খেললে ছাড়তে হবে বাংলাদেশ। যেখানে রাজি ছিলেন না এই ক্রিকেটার।

প্রান্তিক নওরোজ নাবিল বলেন, 'তারা আমাকে বলেছিল আমি যে কারণে অসুস্থতাগুলো ফেস করি তা বাংলাদেশর আবহাওয়ার জন্য। বিশেষ করে ঢাকার জন্য। আমি যদি জোর করে এই আবহাওয়ায় থেকে খেলাধুলা কন্টিনিউ করি, নরমাল লাইফ লিড করতে যাই তাহলে দিনে দিনে আমার অবস্থা খারাপ হবে।'

ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেও এখনও নাবিলের চোখে ভাসে বিশ্বকাপ জেতার সে মুহূর্ত।

প্রান্তিক নওরোজ নাবিল বলেন, 'আমি এখনও চোখ বন্ধ করলে সেই মোমেন্টটা অনুভব করতে পারি যেকোনো সময়। আমার কাছে মনে হয় না জীবনে এরকম কোনো একটা মোমেন্ট আর আসবে। যদি আরও একবার বিশ্বকাপ জিতি তাও আমি ওই ফিলিংটা পাবো না।'

ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও ভবিষ্যতে কমেন্ট্রি করবেন কি না, এ বিষয়েও এখনও সিদ্ধান্ত নেননি এই তরুণ ক্রিকেটার।

প্রান্তিক নওরোজ নাবিল বলেন, 'এখন অনেক বেশি কথা বললেও কষ্ট হয়। এখানে প্ল্যানিংয়ের কোনো অপশন নেই।'

এসএস