২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ হয় নারী ক্রিকেট। সব ধরনের খেলাতেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে নারীদের অংশগ্রহণ।
আফগান নারী ক্রিকেটারদের ব্যাপারে আইসিসির কড়া সমালোচনা করেছেন দেশটির নারী ক্রিকেটার ফিরোজা আমিরি। ২০২১ সালে নারীদের খেলাধুলা নিষিদ্ধ হবার পর থেকে দেশের প্রায় ২০ জন নারী ক্রিকেটার পাড়ি জমিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। বেশ কয়েক জন তরুণ ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ায় থিতু হলেও আইসিসি থেকে পাননি কোনো রকম সহায়তা।
অনেক বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়দের ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন আমিরি। চাকরির জন্য শিখতে হয়েছে ইংরেজি। আইসিসির কাছে আবেদন করেছিলেন রিফিউজি দল হিসেবে তাদেরকে ক্রিকেট খেলার সুযোগ দিতে। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি আইসিসি।
তবে ফিরোজাসহ বাকি ক্রিকেটাররা এখনো স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি। তারই প্রয়াস হিসেবে আগামী ৩০ জানুয়ারি মেয়েদের অ্যাশেজ সিরিজের আগে বর্ডার একাদশের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা।
আমিরি আশা করছেন এই খেলায় তাদের হয়ে ঘর হারা কিংবা দেশ ছাড়া সব নারী খেলোয়াড়দের এক নতুন বার্তা দিবে,স্বপ্ন দেখাবে এক নতুন পৃ্থিবীর।
ফিরোজা আমিরি বলেন, 'ক্রিকেট আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছে। সীমানা পার করেছে। আমরা আশাহত হতে চাইনা, আমরা খেলতে চাই, শিখতে চাই।'
সম্প্রতি আফগান নারী ক্রিকেটাররা আবার আলোচনায় এসেছেন যখন একজন ইংরেজ রাজনীতিবীদের লেখায় উঠে এসেছে লাহোরে আফগানিস্তানের সাথে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড খেলতে অস্বীকৃতি জানানোয়। ইসিবি এই ব্যাপারে আইসিসিকে জানিয়েছে লিঙ্গ বৈষম্যের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।
আফগান ছেলেদের ব্যাপারে খুশি আমিরি। তিনি চান ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও পাক সাফল্য। মেয়েদের খেলার সুযোগ হোক আরও বেশি।
আইসিসিও সর্বশেষ এই ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে। তারা বলেছে আফগানিস্তানের অবস্থা তারা পর্যবেক্ষণ করছে। আইসিসির এক গভর্নিং বডির সদস্য জানিয়েছেন আফগানিস্তান ক্রিকেটে তাদের পূর্ন্য সমর্থন আছে। তারা চান নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য খেলার সুযোগ তৈরি করা। আফগান ক্রিকেট বোর্ড ও আইসিসিকে অনুরোধ করেছে সরকারি নিয়মের জন্য খেলোয়াড়দের শাস্তি না দেয়ার জন্য।