ক্রিকেটের প্রাণ দর্শকরা। অথচ সেই ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকরাই ক্ষুব্ধ! টিকিট নিয়ে অব্যবস্থাপনা এবং প্রাপ্তির সহজলভ্যতা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ দর্শকদের। অভিযোগ আছে টিকিট কালোবাজারি নিয়েও।তবে বিসিবি প্রেসিডেন্ট বক্তব্য ভিন্ন। একই সঙ্গে দর্শকদের আহ্বান জানিয়েছেন ধৈর্য্য ধরার।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘টিকেটের বিষয় যেহেতু প্রযুক্তি নির্ভর তাই এখানে উন্নত করার সুযোগ রয়েছে। আর প্রথম দিকে একটু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকবেই। মিরপুরে আমাদের আসন সংখ্যা মাত্র ২৪ হাজার। এত মানুষকে তাই টিকেট দেয়া আমাদের জন্য কঠিন। তাই দর্শকদের কাছে আমাদের একটু ধৈর্য্য রাখার অনুরোধ থাকবে। ’
বিপিএলের উদ্বোধনী আসর থেকে শুরু করে দশম আসর পর্যন্ত কোনো আসরেই টিকিট বিক্রির পরিমাণ এবং কত টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে কিংবা কতটা রেভিনিউ এসেছে সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি আগের বোর্ড। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জানালেন এবার রেভিনিউ নিয়ে স্পষ্ট তথ্য পাবেন দেশের মানুষ।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘বিপিএল কিন্তু বড় রেভিনিউয়ের জায়গা। গত বারো বছরে রেভিনিউ কত এসেছে অনেকেই আমরা জানি না। তবে এবার সেটা সবাই জানতে পারবে। ডিজিটাল মাধ্যমে যেসব টিকিট বিক্রি হচ্ছে সব টাকা ক্রিকেট বোর্ডের কাছে যাবে। ’
টিকিট ইস্যুতে স্পষ্ট বার্তা দিলেও টি-টোয়েন্টির নতুন অধিরায়ক কে হচ্ছেন সে বিষয়ে ধোঁয়াশা রাখলেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট। অফ ফর্মে থাকা লিটনকে ফুলমার্কস দিলেও কিছুটা কিন্তু রাখলেন কথার ভাঁজে। সেটা কি নতুন কোনো চমকের জন্য?
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘লিটনের নাম যখন আমরা অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করলাম তখন অনেকেই অবাক হয়েছে। সে ফর্মে না ফিরলেও কিন্তু এটা তার অধিনায়ক হিসেবে কাজে কোনো প্রভাব ফেলেনি। আমার মতে অধিনায়ক হিসেবে সে মোটামুটি ৯০ ভাগ নাম্বার পাবে।’
বিসিবি এবং দর্শক দুই পক্ষের চাওয়া নির্ভেজাল প্রক্রিয়া। সেটা টিকিট ইস্যু হোক কিংবা ক্যাপ্টেনসি। কিন্তু কথায় জটলা না থাকলেও কাজে জটলা লাগছে নিয়মিত। দ্রুত এসব জটিলতা কাটিয়ে উঠলেই দেশের ক্রিকেটের জন্য মঙ্গল।