একদিন বিরতির পর বিপিএল মাঠে খেলা গড়ানোর আগেই টিকিট নিয়ে দর্শকদের তুলকালাম কান্ডে ফের শিরোনাম মিরপুর। তবে, বাইরে এমন অবস্থা হলেও মাঠে ঠিকঠাকই হয়েছে দিনের দুটি ম্যাচ। আর প্রথম ম্যাচে বল হাতে তাসকিন আহমেদ নিজের দিকে টেনে নিয়েছেন সব আলো।
মিরপুর শেরই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক ম্যাচ হেরে নেমেছিল দুদল। আসরের শুরুর ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ঢাকা। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে লড়াই চালিয়েও পেরে ওঠেনি রাজশাহী।
এদিন টসভাগ্য পক্ষে আসেনি দুর্বার রাজশাহী কাপ্তানের। তবে এমন আবহাওয়ায় বোলিংই পেয়েছেন তিনি। আর ইনিংসের গল্পে প্রায় পুরোটা জুড়ে তাসকিন। কখনও গতিতে পরাস্ত করেছেন, কখনও ছুড়েছেন বাউন্সার। বাকিদের ব্যর্থতায় ঠিকই রান তুলে নিয়েছিল ঢাকা। দেড়শ ছাড়িয়ে দুইশ'র পথে হাঁটা ঢাকাকে অবশ্য অল্পতেই বেধে রেখেছিলেন তাসকিন।
তাসকিনে রাঙা দিনটিতে ব্যাট হাতে ঢাকার শাহদাত হোসেন দিপু। ৫০ রান করতে তরুণ এই ব্যাটার খরচ করেন ৪১ বল। তিনে নামা স্টিফেন ইসকিনজির ব্যাটে আসে ৪৬ রান । বছরের শুরুতে আবারও লিটন দাস ফিরেছেন শূন্য রানে। তবে পেরেরা, শুভম রঞ্জন আর আলাউদ্দিন বাবুদের ব্যাটে চড়ে ১৭৪ করে ঢাকা।
জবাব দিতে নেমে রাজশাহী ১৩ রানে প্রথম ও ৩১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায়। এরপর ইয়াসির রাব্বি দলের ৭৩ রানে ব্যক্তিগত ২২ রানে ফিরলে চাপে পড়ে রাজশাহী। তবে চার ছক্কার ফুলঝুরিতে বিজয় ও বার্ল ১০৬ রানের জুটি গড়ে দলকে জেতান। বিজয় ৭৩ ও বার্ল ৫৫ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন।
দিনের অন্য ম্যাচে জমজমাট লড়াইয়ের আভাস দিয়ে বড় ব্যবধানে হেরেছে কাগজে-কলমে এবারের বিপিএলের সেরা দল ও সর্বশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। খুশদীল শাহর বোলিং এবং সাইফ হাসান ও অ্যালেক্স হেলসের ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে জিতেছে রংপুর রাইডার্স। বিপিএলে নিজেদের তিন ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
তারকাসমৃদ্ধ দল বরিশালের। কিন্তু ব্যাট কিংবা বোলিংয়ে ভালো করতে পারেননি দলটির কেউ। শুরুতে তামিম ইকবাল বড় রানের আশা দিয়ে ১৮ বলে ২৮ রান করে ফিরে যান। পাঁচটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন তিনি। শেষে মোহাম্মদ নবী খেলেন ২১ রানের ইনিংস। মাঝে নাজমুল শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহরা ব্যর্থ হওয়ায় ১৮ দশমিক ২ ওভারে ১২৪ রানে অলআউট হয় বরিশাল।
জবাবে ১৫ রানে ২ উইকেট হারায় রংপুর। বিপিএল অভিষেকে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জয়ী দলের অধিনায়ক আজিজুল হক তামিম গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরে যান। তাকে আউট করেন তারই সতীর্থ ইকবাল হোসেন ইমন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওই ওভারেই তৌফিক খান শূন্য করে ফিরে যান। পরে হেলস ও সাইফ হাসান ১১৩ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে দলকে ৩০ বল থাকতে জয় এনে দেন।