বিপিএলের জাকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী আয়োজন ছাপিয়েও ক্রিকেট পাড়ায় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ছিলো কেমন হবে মাঠের খেলা? বড় রান-চার ছক্কা দেখা যাবে তো? কিন্তু মিরপুরে উদ্বোধনী ম্যাচেই ৫৫ টি বাউন্ডারি ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে সেই প্রশ্নগুলো সীমানাছাড়া করেছেন আনামুল বিজয়-ইয়াসির রাব্বী-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা।
রাজশাহীর দেয়া ১৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি বরিশালের। ইনিংসের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ১২ রানে ফেরেন তামিম ইকবাল। চতুর্থ ওভারে আউট হন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান তারকা কাইল মেয়ার্সও।
বিপর্যয় সামাল দিতে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। দলীয় ৫১ রানে ফেরেন হাসান মুরাদের শিকার হয়ে। শুরুটা ভালো করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। দলকে বিপদে ফেলে ৬২ রানের মাথায় আউট হন তিনিও।
হৃদয়ের আউটে বরিশালের জয়ের সমীকরণ প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এই সমীকরণ মেলাতে মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গ দিতে ৭ নম্বরে ব্যাটিংয়ে আসেন শাহিন আফ্রিদি। রিয়াদের সঙ্গে তার ৫১ রানের জুটি ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছে বরিশালকে।
ম্যাচে শেষ ৬ ওভারে বরিশালের প্রয়োজন ছিল ৭৮ রান, হাতে ৪ উইকেট। এমন চাপ সামলে এই অবস্থান থেকে জয় তুলে নেয়ার ঘটনা বিপিএলেই খুব অপরিচিত। তবে সেই প্রায় অসম্ভব কাজকে সম্ভব করলেন ৩৮ বছরের বুড়ো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
সপ্তম উইকেট জুটিতে ৮৮ রান করেছেন রিয়াদ-ফাহিম আশরাফ। বিধ্বংসী এই জুটি হারের মুখ থেকে শেষমেশ সহজ জয়ের রূপ দিয়েছে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি রাজশাহীর। দলীয় ২৫ রানের মাথায় ২ ওপেনারকে হারায় দলটি।
তৃতীয় উইকেটে আনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলী রাব্বীর ১৪০ রানের জুটিতে ১৯৭ রানের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে। বিজয় ৬৫ রান করলেও ৪৭ বলে ৯৪ রান করে অপরাজিত থাকেন রাব্বী।