এলাম দেখলাম জয় করলাম। স্যাম কন্সটাসের জন্য দিনটি ছিল এমনই। মেলবোর্নে ৮৭ হাজার দর্শকদের সামনে অভিষেকেই বাজিমাত করলেন স্যাম কন্সটাস।
বয়সটা মাত্র ১৯ বছর। বয়সভিত্তিক দল থেকেই সেঞ্চুরির দিকে ঝোঁক ছিল স্যামের। স্কুল ও এজ-লেভেল গ্রুপে সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার রান তার। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে করেছেন ১৯১ রান।
২০২৪-২৫ মৌসুমে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাত্র চারটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে করেছেন দুই সেঞ্চুরি। অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে রিকি পন্টিংয়ের পর এই তালিকায় নাম উঠেছে তার।
চলমান বর্ডার গাভাস্কার ট্রফির প্রস্তুতি ম্যাচে প্রাইম মিনিস্টার একাদশের হয়ে খেলেছেন ৯৭ বলে ১০৭ রানের ইনিংস। সেই থেকেই নজর কাড়েন অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকদের।
১১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৪২.২৩ গড়ে করেছেন ৭১৮ রান। দু'টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি আছে তিনটি অর্ধশতক। সর্বোচ্চ রান ১৫২।
বক্সিং ডে টেস্টে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন স্যাম। রান পাওয়ার পরের তিন বলেই বুমরাহর বলে খেলেছেন র্যাম্প শট। প্রথমে সফল না হলেও বুমরাহকে র্যাম্প শটে পরাস্ত করেছেন। মেরেছেন রিভার্স স্কুপও।
টেস্টে সবশেষ বুমরাহকে ছক্কা মেরেছেন ক্যামেরুন গ্রিন। চার হাজার ৪৮৩ বল পর আবার বুমরাহকে ছক্কার লজ্জায় ভাসালেন স্যাম। একসময় অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা স্লেজিং করে রাগিয়ে দিতো কোহলিকে। সেই কোহলি এবার মেজাজ হারিয়ে ধাক্কা মারলেন ১৯ বছরের তরুণকে। কোহলির দিকে চোখে চোখ রেখে জবাবও দিলেন স্যাম। যদিও ধাক্কা মারার অপরাধে শাস্তি পেয়েছেন কোহলি । গুণতে হয়েছে ম্যাচ ফির ২০ শতাংশ জরিমানা। সাথে পেয়েছেন একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
৬৫ বলে ৬০ রান করতে মেরেছেন ছয়টি চার ও দু'টি ছক্কা। যার মাঝে বুমরার ৩৩ বলে নিয়েছেন ৩২ রান আর সিরাজের ১৯ বলে নিয়েছেন ২০ রান। জাদেজার বলে লেগ বিফোর হয়ে যখন প্যাভিলিয়নের দিকে লম্বা হাঁটা দিলেন স্যাম, মেলবোর্নের ৮৭ হাজার দর্শক তখন সিট ছেড়ে করতালিতে ভাসিয়ে দিচ্ছিলেন এই তরুণ বিধ্বংসী ব্যাটারকে।
টেস্ট ক্রিকেটে ১৯৫৩ সালের পর সবচেয়ে কম বয়সী ওপেনিং ব্যাটারকে পেলো অজিরা। প্রথম দিনে মেলবোর্নের আকাশ মেঘলা থাকলেও ৮৭ হাজার দর্শকের সামনে স্যাম কন্সটাস নিজের আগমনী বার্তা জানান দিলেন তার ব্যাটিং আগুনের উত্তাপ ছড়িয়েই।