অ্যান্টিগা টেস্টের চতুর্থ দিনেই হারটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। শেষ দিনে যেন সেই আনুষ্ঠানিকতাই সারলেন টেল এন্ডার ব্যাটাররা। সফররতদের হাতে ছিল তিন উইকেট।
আলজারি জোসেফের বোলিং তোপে পঞ্চম দিনে এক ঘণ্টাও ব্যাটিং করতে পারেনি বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদ আর জাকের আলী অনিকের বিদায়ের পর তাসকিন আর শরিফুল ক্রিজে বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি।
সবার শেষে নামা শরিফুল কাঁধে চোট পাওয়ায় আর ব্যাটিংই করলেন না। যে কারণে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় স্বাগতিকদের।
ভারত -দক্ষিণ আফ্রিকার পর উইন্ডিজের কাছেও ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে হার দিয়ে সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ। সোমবার ৩৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় মেহেদী মিরাজের দল। মাত্র ৭ রানের মধ্যে বিদায় নেন ওপেনার জাকির হাসান আর জয়। দুই উইকেট পর নামা শাহাদাত হোসেন দ্বীপুও বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি। ব্যক্তিগত ৪ রানে কেমার রোচকে উইকেট দেন ব্যাটার।
প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা মুমিনুল ক্রিজে সেট হয়েছেন ঠিকই। তবে, ইনিংস বড় করতে পারলেন না। ১১ রান করেই কেমার রোচের তৃতীয় শিকার হন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। দল ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়লেও ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করতে থাকেন লিটন দাস। সেটার ফল অবশ্য ভালো হয়নি। ২২ রানে ইনিংস থামে সিনিয়র ক্যাম্পেইনারের।
অধিনায়ক মেহেদি মিরাজও দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করছিলেন। ব্যক্তিগত অর্ধশতকের কাছাকাছি গিয়ে উইকেট দেন এই অলরাউন্ডার। মাত্র ৫ রানের জন্য মিস করেন ফিফটি। নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে নামা তাইজুলও ৪ রানের বেশি করতে পারেনি। অ্যান্টিগায় এর আগে কখনোই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি।