ক্রিকেটাররা ব্যাট-বলের অনুশীলনে, গভীর মনোযোগে পর্যবেক্ষণ করছেন কোচ। বোঝার চেষ্টা করছেন হালচাল, খুঁজছেন শক্তি-দুর্বলতা। মাত্র তিনদিন হলো বাংলাদেশে পা রেখেছেন তিনি।
দু'দিন পরই শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ। এই ক'দিনে এরই মধ্যে নানা ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। কোচ বদল, সাকিব ইস্যুতে পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলন, সবমিলিয়ে টালমাটাল দেশের ক্রিকেট। এসব চ্যালেঞ্জ উতরে মাঠের ক্রিকেটে কতটা মনোযোগী হতে পারবে দল? ঘুরেফিরে বারবারই কোচ বললেন, মনন-মস্তিষ্কের সবটুকু জুড়ে কেবলই ক্রিকেট আর আসন্ন সিরিজ।
জাতীয় দলের নবনিযুক্ত হেড কোচ ফিল সিমন্স বলেন, ‘আমাদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ একটা টেস্ট ম্যাচ আছে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য। আগামী কয়েকটা টেস্ট যদি আমরা জিততে পারি তাহলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়ে থাকবো। এটা আমাদের জন্য দারুণ সুযোগ। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ শক্তিশালী দল। দক্ষিণ আফ্রিকার উপমহাদেশে দুর্বলতা আছে ঠিক, তবে ওরা ঘুরে দাঁড়াতে কঠিন পরিশ্রম করবে।’
দলে রেখেও নানা জটিলতায় শেষমেশ বিশ্বসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। কোচ অবশ্য পেছনে ফিরে তাকাতে চান না।
তিনি বলেন, ‘আগামী কয়েকদিনে আমাদের মূল দায়িত্ব হবে বাইরের সব আলোচনা থেকে দূরে থেকে ক্রিকেটে মনোযোগ দেয়া। (সাকিবসহ) বাইরের কোনোকিছুর ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। দলের ফোকাস ঠিক রাখা জরুরি।’
সিমন্সকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আগামী বছরে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। সে টুর্নামেন্টে কেমন দেখতে চান ঘরে-বাইরে বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে? প্রশ্ন উঠলো। ক্যারিবিয়ান কোচ এখনই ভাবতে চান না সেটি নিয়ে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেয়া এবং ম্যাচ জেতার চেষ্টা করা। আমি এভাবেই কাজ করি। আপাতত পরের ম্যাচটা নিয়ে ভাবছি।’
চান্ডিকা হাথুরুসিংহকে বরখাস্ত করায় আরো একবার পরিষ্কার হয়েছে, বাংলাদেশে কোচিং করানো কতটা জটিল। সব বুঝেশুনেই এই পথে পা বাড়িয়েছেন ফিল সিমন্স। সময় বলবে, তার যাত্রাটা কেমন হবে।