১২ বছর আগেই ছোট সংস্করণের ফরম্যাটে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এ সময়কালে পাঁচবার বিশ্বকাপের মঞ্চে ব্যাট বল হাতে জোতি, ফাহিমারা বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন। তবে মরীচিকার মতো আসরের ট্রফি ধরা দেয়নি কখনও!
তবে কখনই দমে যাননি দেশের নারী ক্রিকেটাররা। ক্রিকেট মাঠের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে অধরা স্বপ্ন পূরণের সন্ধানে আবারও লড়াইয়ে তারা।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার দিশা বিশ্বাস জানান, 'ঘরের মাঠের খেলা তো অন্যরকম। নিজেদের পরিচিত সবকিছু হওয়াতে সুবিধা বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি আমরা অনেকগুলো ট্যুর করেছি। অনেকগুলো সিচুয়েশন দেখেছি। আমরা প্লেয়াররা সবকিছু মানিয়ে নিতে পারি। এবারও আমরা এডজাস্ট করে নিব।'
বল হাতে বিশ্বকাপের উইকেটে প্রতিপক্ষের জন্য কঠিন প্রস্তুতি নিয়ে দেশের গন্ডি পেরিয়েছেন ফাহিমা, মারুফারা। তাদের এবার নতুন সফরসঙ্গী ২০ বছর বয়সী দিশা বিশ্বাস। একসঙ্গে দেশের সাফল্যে রাখতে চান ভূমিকা।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের স্পিনার ফাহিমা খাতুন বলেন, 'এশিয়ান দেশগুলোর ভেতরে আমাদের বাংলাদেশ টিম যদি ভালো টিম হিসেবে পারফর্ম করতে পারি তাহলে আমাদের যেকোন দেশের সাথে ভালো করার অনেক অনেক সম্ভবনা থাকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবশ্যই একটা চাপ থাকবে। আমরা টিম ওয়াইজ তা হ্যান্ডেল করতে পারবো।'
দিশা বিশ্বাস আরও বলেন, 'আমরা অনুশীলন করেছি, অনেক পরিশ্রম করেছি। এমনকি আমরা সাউথ আফ্রিকার সাথে লাস্ট সিরিজ খেলেছি। ওখানে আমরা ওদের মাটিতে ওদের হারিয়েছি। সব মিলিয়ে পজেটিভই আছি। শুধু আমাদের জায়গা থেকে বেস্টটা দিতে পারলে আমরা অবশ্যই ওদেরকে হারাতে পারবো'।
ফাহিমা খাতুন বলেন, 'আমাদের প্রথম খেলা যেহেতু স্কটল্যান্ডের সাথে আমাদের প্রথম টার্গেট থাকবে ঐ ম্যাচটা ভালো খেলে পয়েন্ট অর্জন করা। যখন আমরা বিশ্বকাপে একটি ম্যাচ জিতবো তখন আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ আরও বড় হয়ে যাবে। আমি সম্ভাবনা দেখছি। আমি প্রত্যেকটা খেলোয়াড়কে বলেছি এটা আমাদের অনেক বড় সুয়োগ। এখান থেকে আমাদের অনেক কিছু অর্জন করার আছে।'
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের পেসার মারুফা আক্তার বলেন, 'পেস বোলিংয়ে নিজেরা কতটুকু দিতে পারছি তার উপর অবশ্যই অনেককিছু নির্ভর করছে।'
লাল সবুজের অহংকার বুকে ধারণ করা দেশের নারী ক্রিকেটারদের বিশ্বাস বিশ্বকাপে করবেন বাজিমাত।