বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে হাথুরুসিংহে থাকবেন নাকি যাবেন এ বিষয়টি নতুন সভাপতি আসার আগে থেকেই ক্রিকেট পাড়ায় টপ অব দ্য চার্ট। এমনকি বিদায়ের ক্ষণ গুনছিলেন অনেকেই।
এ আলোচনা প্রেক্ষিতে ক্রীড়া বিশ্লেষক ও সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক শামীম চৌধুরী বলেন, ‘অবশ্যই এখন ক্রিকেট বোর্ডের ভেবে দেখা উচিত, আমাদের স্থানীয় যেই কোচরা আছেন তাদের ইনভলভ করা যায় কিনা। এদিকে আমাদের হাতেও বেস্ট অপশন ছিল। আমিনুল ইমলাম বুলবুলের মতো কোচ আমাদের কাছে ছিল, যিনি আইসিসি ও এসিসিতে লেভেল ৩ কোচে’স ট্রেনিং করান। তিনি কোচেদেরও কোচ। তাকে রেখে দেওয়ার একটা সুযোগ ছিল।’
হাথুরে অধ্যায়ের ইতি টানা স্বেচ্ছাচারিতা হবে কিনা অথবা হাথুরুর পারফেক্ট রিপ্লেসমেন্ট এই মুহূর্তে পাওয়া যাবে কিনা সেটাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে ঠিকঠাক বিকল্প পেলেও হাথুরুকে যথাযথ বিদায় দেয়ার জন্য বোর্ডকে গুনতে হবে অতিরিক্ত ৭৫ হাজার ডলার বা প্রায় ৯০ লাখ টাকা।
অন্যদিকে ক্রিকেট বোর্ডের অনিয়মে কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখার ঘোষণা দিয়েছেন নতুন বোর্ড সভাপতি। কিন্তু, রাতারাতি এসব অনিয়মের আমূল পরিবর্তন করা সম্ভব কি?
ক্রীড়া বিশ্লেষক ও সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিক শামীম চৌধুরী বলেন, ‘১৫ বছর ধরে ক্রিকেট বোর্ডের আর্থিক দুর্নীতি এমন একটা পর্যায়ে চলে গিয়েছিল এটা সহনীয় মাত্রায় ছিল না, এবং এটার জন্য ক্রিকেট বোর্ডের কিছু পরিচালক ও সিইও সরাসরি এতে সম্পৃক্ত।’
পিচ কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকে নিয়েও বিতর্ক আছে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে দেশীয় পিচ কিউরেটর তৈরি করা সম্ভব কিনা সে বিষয়েও রয়েছে নানা মতামত।
অন্যদিকে, ফুটবলে নারী সাফ এবং ছেলেদের অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে গোলাম রাব্বানী ছোটন ও মারুফুল হকদের মতো দেশী কোচের হাত ধরেই শিরোপা এসেছে ঘরে।। তাহলে ক্রিকেটে কেনো দেশী কোচদেরকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছেনা?
দেশে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ক্রিকেটে দেশীয় কোচ নিয়োগ না দেওয়ার ইতিহাস কাটিয়ে ভবিষ্যৎ এ নতুন সম্ভাবনার কথা কান পাতলেই শুনতে পাওয়া যাচ্ছে দেশের ক্রিকেট অঙ্গণে।