সাজে একটি কথা প্রচলিত আছে, 'প্রথমে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী'। ইংল্যান্ড পেসার জেমস অ্যান্ডারসনের লুক অ্যান্ড স্টাইল দেখলে তো নায়ক বললে কম হবে না। ক্রিকেটের স্টাইল আইকন জিমি অ্যান্ডারসনের শুধু দর্শনধারীই নয়, রয়েছে গুণের ব্যাপক বিস্মৃতি।
বর্তমান সময়ের কিং অব সুইং জিমির রয়েছে টেস্টে ক্রিকেটে পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭০০ উইকেট। যার সামনে আছেন মুরালিধরন আর শের্ন ওয়ার্নের মতো কিংবদন্তিরা। তবে এখনও অজি লেগ স্পিনারের ৭০৮ উইকেটের মাইলফলক পার করার সুযোগ রয়েছে অ্যান্ডারসনের সামনে।
তিনি ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলেই অবসরে যাবেন বলে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে জানিয়ে দিয়েছেন। নিজের পরিবার ও ভক্তদেরও জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা। ধন্যবাদ দিয়েছেন কোচ আর ২ যুগ তাকে সহযোগিতা করা ইংলিশ ক্রিকেটারদেরও।
তিন ফরম্যাটের ভেতর জেমস অ্যান্ডারসনের ক্যারিয়ারটা বড্ড রঙিন লাল বলের ক্রিকেটে। যেখানে ৭০০ উইকেটের পাশে রয়েছে ৩২বার ৫ উইকেট আর ৩ টেস্টের প্রতিটিতে ছুঁয়েছেন ১০ উইকেট নেয়ার মাইলফলক।
জিমি সাদা পোশাকেও ক্যারিয়ার নিয়ে গেছেন অন্যান্য উচ্চতায়। সে তুলনায় ৫০ ওভারের ক্রিকেট থেকে সরে গেছেন অনেকদিন আগেই। সবশেষ রঙিন পোশাকে খেলেন ৯ বছর আগে। তবে এই ফরম্যাটে ইংলিশদের হয়ে তার প্রথম হ্যাটট্রিকের কীর্তি রয়েছে।
একদিনের ক্রিকেট থেকে ২০১৫ এর বিশ্বকাপের পর সরে গেলেও টি-টোয়েন্টি থেকে জেমস অ্যান্ডারসনেরর বিচ্ছেদের বয়সটা প্রায় দেড় দশক। ২০০৯ এর পর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট থেকে নিজেতে সরিয়ে নেয়া ইংলিশ পেসারের টি-টোয়েন্টিতে নেই বলার মতো সফলতা।
ক্রিকেটের এলিট ফরম্যাটকে ভালোবেসে খুব একটা খেলা হয়নি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আসর। অর্থের ছড়াছড়ি থাকা টি-টোয়েন্টি না খেলে জিমির সম্পদের পরিমাণ ২৩৫ কোটি টাকার বেশি। যে আয়ের বড় অংশটাই আসে ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিকেট খেলে। এছাড়া রিয়েল এস্টেড ব্যবসাতেও ইংলিশ পেসারের বিনিয়োগ রয়েছে বলে জানা যায়।
বর্তমান সময়ের ক্রিকেটে সবাই যখন নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সেখানে অনেকটা ব্যতিক্রম জিমি অ্যান্ডারসন। ধরে রেখেছেন ক্রিকেটের অভিজাত এই ফরম্যাট। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় ২১ বছর আগে যে লর্ডস থেকে টেস্ট ক্রিকেটের অধ্যায় শুরু করেছিল. জিমি সেখানেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শেষ বলটা করবেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তী বনে যাওয়া এই ক্রিকেটার।