২০০৮ সাল থেকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ -আইপিএলের জন্ম। প্রথম আসরে কয়েকশো থেকে এখন এই আইপিএলের মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্রিকেট বোর্ড ভারতীয়দের আয় রেকর্ড হাজার হাজার কোটি টাকা।
২০২৩ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত আইপিএলে সম্প্রচার স্বত্ব ও ডিজিটাল থেকে বিসিসিআইয়ের আয় রেকর্ড প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এই আইপিএলের মাধ্যমে ভারত টাকার পাহাড় গড়েছে যেমন, ঠিক তেমনি আইপিএলও জনপ্রিয়তায় আকাশ ছুঁয়েছে। কিন্তু নিষ্ঠুরতম সত্য হলো। দারুণ উত্তেজনার এই আইপিএলের জন্মের ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। তাই নিন্দুকের সমালোচনা করেই বলে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে অর্থের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করলেও মর্যাদার বিশ্বকাপ ট্রফি জিততে পারেনি ভারতীয়রা।
এবার তাই বিশ্বে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও ধনী ক্রিকেট বোর্ডের আক্ষেপ মেটাতে মরিয়া রোহিত-কোহলিরা। ২০১১ সালে সর্বশেষ ধোনির নেতৃত্বে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের পর ১৩টি বসন্ত গেছে। কিন্তু আর কোনো বিশ্বকাপ ট্রফি আসেনি ভারতীয়দের শো কেসে। আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের তালিকায় থাকা অধিনায়ক রোহিত ফিরতে সুনামির মতো আগ্রহী ব্যাটিং ঢংয়ে। সুপার ফ্লপ কোহলি হয়তো সেরা ঢেলে দেবেন ফাইনালের ময়দানে। সব নিংড়ে দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার পর বিশ্বকাপে চুম্বন দিতে মুখিয়ে ভারতীয়রা।
অন্যদিকে শত বছরের বেশি সময় ক্রিকেট খেলা দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনাল। এর আগে ১৯৯২ থেকে সর্বশেষ ২০২৩ বিশ্বকাপে সাতবার সেমিফাইনালে উঠে প্রোটিয়াদের হৃদয় ভেঙেছে প্রতিবার। যে কারণে কপালে তাদের জুটেছে চোকার্স তকমা। কিন্তু এবার সব ঘুচানোর পালা। নতুন কিছু সূচনার পালা। নতুন করে ক্রিকেট মানচিত্রে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পালা। আর নয় চোকার্স। এবার হবেই সফল। প্রথম ফাইনালই হবে হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকার অজন্মের লালিত স্বপ্নের সেই বিশ্বকাপ ট্রফি জয়।
যে বার্বাডোসের উইকেটে খেলা সেখানে বিশ্বকাপের প্রথম ২০০ রান উঠেছে হু হু করে। এছাড়া আরও বাকি পাঁচ ম্যাচে রান উঠেছে আর বৃষ্টির মতো বাউন্ডারি আছড়ে পড়েছে। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার যেমন, টপ মিডল অর্ডারে খুনে মেজাজে ব্যাটার ঠিক তেমনি পেস বিভাগ থেকে রিস্ট স্পিন। দুই দলও আসরে এখন পর্যন্ত অপরাজিত। তাই লড়াই হবে শিয়ানে শিয়ানে। উত্তেজনা পারদে ক্রিকেট পিয়াসীরাও অপেক্ষায় রোমাঞ্চকর এক স্বপ্নীল ফাইনাল দেখার।