দক্ষিণ এশিয়ার আর্ক রাইভাল এখন বাংলাদেশ-ভারত। গত কয়েক বছরে ২২ গজে যতবারই মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ আর ভারত, ততবারই ছড়িয়েছে উত্তেজনার পারদ।
গ্রুপপর্বের ব্যাটিং বিপর্যয় সুপার এইটেও টেনে এনেছে লিটন-তামিমরা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হার দিয়ে শেষ আট শুরু করে বাংলাদেশ। খেলায় কোনো লড়াই করতে পারেননি শান্ত-সাকিবরা। অনায়াসেই জয় তুলে নিয়েছে অজিরা।
বাংলাদেশ হেরে গেলেও প্রতিপক্ষ ভারত সুপার এইট শুরু করেছে দুর্দান্ত জয় দিয়ে। আফগানিস্তানকে ৪৭ রানে হারিয়ে এই পর্ব শুরু করেছে রোহিত-কোহলিরা। বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটিং আক্রমণ তাদের। যুক্তরাষ্ট্রে পিচের দোষে খারাপ খেললেও সুপার এইটের শুরুতেই ১৮১ রানের ইনিংস খেলে দলটি। বাংলাদেশি বোলারদের সামনে তাই এটি বড় চ্যালেঞ্জ।
বোলারদের চ্যালেঞ্জের চেয়ে বেশি ভাবনার বিষয় ব্যাটারদের রানে ফেরা। বড় মঞ্চে রান করতে না পারলে লড়াই করা মুশকিল হবে। আর ভারতের বিপক্ষে হারলে নিশ্চিত হবে বিদায়। টিকে থাকতে হলে দলগত পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যদের সামনে। কারণ বোলাররা নিজেদের যথেষ্ট প্রমাণ করেছে চলমান আসরে। গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের তিন জয়েই তাদের অবদান।
মুখোমুখি পরিসংখ্যানও এগিয়ে থাকছে ভারত। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে একে অপরের বিপক্ষে ১৩ ম্যাচ খেলেছে দুই দেশ। এর মধ্যে মাত্র একটি ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চারবার দেখা হয়েছে দুই দলের। সব ম্যাচই জিতেছে টিম ইন্ডিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময় পরে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশকে। টাইগারদের চেয়ে একটু বেশি সময় পেয়েছে ভারত। কিন্তু এক জায়গায় পিছিয়ে তারা। ভ্রমণের ক্লান্তি পোহাতে হবে ভারতকে। দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে বার্বাডোজ থেকে অ্যান্টিগায় আসতে হয়েছে তাদের। কিন্তু ভেন্যু পরিবর্তন বা ভ্রমণ করতে হয়নি টাইগারদের।